রাষ্ট্রসংঘে পাকিস্তানকে তুলোধোনা করলেন সুষমা স্বরাজ, দেখে নিন ১০টি পয়েন্ট
ওয়েব ডেস্ক: সন্ত্রাসবাদ নিয়ে পাকিস্তানকে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চে তীব্র আক্রমণ করলেন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। শনিবার রাষ্ট্রসংঘের ৭২তম অধিবেশনে বিতর্কে অংশগ্রহণ করে পাকিস্তানকে গোটা বিশ্বের সন্ত্রাসবাদের আতুড় বলেন তিনি। একই সঙ্গে স্বাধীনতার পর ৭০ বছরের ইতিহাসে কেন উন্নয়নের নিরিখে পাকিস্তান এত পিছিয়ে পড়ল সে প্রশ্নও তুলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন - 'পাকিস্তান সন্ত্রাসবাদীদের কারখানা', রাষ্ট্রপুঞ্জের অধিবেশনে ব্যঙ্গ বিদেশমন্ত্রীর
এদিন মোট ২০ মিনিট বলেন সুষমা। বক্তব্য শুরু করার ৯ মিনিট পর যান সন্ত্রাসবাদ প্রসঙ্গে। রীতিমতো পাকিস্তান ও পাক প্রধানমন্ত্রীর নাম করে আক্রমণ শানান সুষমা। একের পর এক হামলা করেন পড়শি দেশের উদ্দেশ্যে।
- পাকিস্তানের নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে সুষমার পরামর্শ, আপনারা ভাবুন, কেন ভারতকে গোটা বিশ্ব তথ্যপ্রযুক্তিতে শক্তিশালী একটি দেশ হিসাবে চেনে আর পাকিস্তানকে চেনে সন্ত্রাসবাদ রফতানিকারী হিসাবে।
- বিদেশমন্ত্রী বলেন, ভারত স্বাধীনতার পর আইআইটি, আইআইএম ও এইমসের মতো প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছে। পাকিস্তান তৈরি করেছে লস্কর-ই-তৈবা, জইশ-এ-মহম্মদ, হক্কানি নেটওয়ার্ক ও হিজবুল মুজাহিদিনের মতো জঙ্গিগোষ্ঠী।
- পাক প্রধানমন্ত্রী খাকান আব্বাসিকে সুষমার কটাক্ষ, যে দেশ পাশবিকতার যাবতীয় সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে তাদের কাছ থেকে ভারত মানবিকতা শিখবে না।
- সুষমা বলেন, আমরা গবেষক, চিকিত্সক, ইঞ্জিনিয়ার তৈরি করেছি। আপনারা সন্ত্রাসবাদী তৈরি করেছেন। চিকিত্সকরা প্রাণ বাঁচান, আর সন্ত্রাসবাদীরা নিরপরাধ মানুষকে মারে।
- সুষমা বলেন, আপনাদের (পাকিস্তানের) জেহাদি সংগঠন শুধু ভারতীয় নাগরিকদেরই মারছে না, পড়শি বাংলাদেশ ও আফগানিস্থানের নাগরিকরাও তাদের হাতে প্রাণ হারাচ্ছে।
- সুষমা স্বরাজ বলেন, এই প্রথম রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভায় এই প্রথম কোনও দেশ সান্ধ্য অধিবেশনে 'জবাব দেওয়ার অধিকার' চেয়েছে। তাও আবার তিনটি দেশের জন্য। এতেই বোঝা যায় পাকিস্তানের কী অবস্থা।
- পাকিস্তান যে টাকা সন্ত্রাসবাদ ছড়াতে ব্যবহার করেছে তা যদি উন্নয়নে ব্যবহার করত তাহলে বিশ্ব এখন বসবাসের জন্য অনেক নিরাপদ হত।
- পাকিস্তান আর আমরা একসঙ্গে স্বাধীন হয়েছিলাম। পাকিস্তান কোথায় পিছিয়ে পড়েছে, আর আমরা কোথায় এগিয়ে গিয়েছি।
- আমরা দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করছি। পাকিস্তান আমাদের সঙ্গে লড়ছে।
- সুষমা বলেন, পাক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন জিন্না তাঁদের শান্তি ও সম্প্রীতির বিদেশনীতি উপহার দিয়েছেন। কী দিয়েছেন ইতিহাস তার সাক্ষী। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শান্তি ও বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছিলেন। কিন্তু সেই প্রস্তাবকে খারিজ করেছে কে? আব্বাসি সাহেব জবাব দিন।