বন্দুকবাজের নিশানা এবার নিউ জার্সি, মৃত ৩

ফের বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়। আজ আমেরিকার নিউ জার্সিতে এক বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুজন। পুলিসের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই বন্দুকবাজেরও।

Updated By: Aug 31, 2012, 05:38 PM IST

ফের বন্দুকবাজের হামলা আমেরিকায়। আজ আমেরিকার নিউ জার্সিতে এক বন্দুকবাজের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুজন। পুলিসের পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয়েছে ওই বন্দুকবাজেরও।
শুক্রবার নিউ জার্সি থেকে ২৫ মাইল দুরে ওল্ড ব্রিজ এলাকায় পাথমার্ক প্লাজায় একটি কেমিস্টের দোকানে আজ সকালে আচমকা ঢুকে পড়ে ওই বন্দুকবাজ। এলোপাথাড়ি গুলিতে মারায় যায় দুজন। এই নিয়ে গত একসপ্তাহের মধ্যে পরপর দুটি বন্দুকবাজের হামলা হল। গত শুক্রবার নিউ ইয়র্কের এম্পায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের সামনে এক বন্দুকবাজের গুলিতে মারা যান দুজন।
বিগত কয়েক দশকে আমেরিকায় বেশকয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেছে, যেসব ঘটনায় একজন অথবা দু'জন বন্দুকবাজের ফিদাইন হামলায় রক্তাক্ত হয়েছে সেদেশের মাটি।
অগাস্ট ২৪, ২০১২: নিউ ইয়র্ক শহরের এমপায়ার স্টেট বিল্ডিংয়ের বাইরে দু'জনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আহত হন ৮ জন।
অগাস্ট ৫, ২০১২: রবিবারের সকালে একটি শিখ ধর্মস্থানে এক বন্দুকবাজের গুলিতে নিহত হন ছ'জন।
জুলাই ২০,২০১২: কলোরাডোর এক পেক্ষাগৃহে এক মুখোশধারী বন্দুকবাজের হানায় ১২ জন মারা যান। ঘটনায় আহত হন ৫৮।
এপ্রিল ২,২০১২: ওকল্যান্ডের খৃষ্টান কলেজে এক কোরিয়ান বন্দুকবাজের নিসানার শিকার হন ৭ জন নিরীহ মানুষ। ঘটনাটিতে আরও ৩ জন আহত হন।
জানুয়ারি ৮,২০১১:  গাব্রিলি গিফ্রোডস্‌ নামে এক ইউএস কংগ্রেসী সদস্যাকে হত্যা তাসকনে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়। যদিও প্রাণে বেঁচে যান ওই মহিলা। কিন্তু অ্যারিজোনার ওই ঘটনায় প্রাণ হারান ৬ জন।
এপ্রিল ১৬,২০০৭: ভার্জিনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকবাজ হামলার সবচেয়ে সন্ত্রাসজনক ঘটনাটি ঘটে। ৩২ জনকে গুলি করার পর আততায়ী নিজেও আত্মহত্যা করে। 
নভেম্বর ২১,২০০৪: ৩৫ বছরের এক যুবক গুলি করে ৮ জনকে। মারা যান ৬ জন।
অক্টোবর ২০০২: ওয়াশিংটনে দুই বন্দুকবাজের হানা। জন মুহাম্মদ ও লি মালভোর গুলিতে ১০ জন মারা যান।
জুলাই ১৯৯৯: আটলান্টায় এক দুষ্কৃতির গুলিতে নিহত হন ৯ জন। ঘটনাটিতে ওই বন্দুকবাজ তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের হত্যা করার পর নিজেকেও গুলি করেন।
এপ্রিল ১৯৯৯: এবারের ঘটনাস্থল ডেনভারের কলম্বিয়া হাই স্কুল। সশস্ত্র দুই কিশোরের গুলিতে প্রাণ হারায় ওই স্কুলের ১৩ জন ছাত্র ও দু'জন কর্মী। বেশকিছুক্ষণ তাণ্ডব চালানোর পর ওই দুই ছাত্র নিজেদেরও গুলি করে হত্যা করে।

.