নিসের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

বাস্তিল দিবসের দুদিন আগেই ভাড়া করা ট্রাক নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছিল মহম্মদ লাহৌআয়েজ বৌলেল। নিসের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন ফরাসি তদন্তকারীরা। ঘটনার মোটিভ ও বৌলেলের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে আজ তার পরিচিতকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। দুদিন জেরার পর বৌলেলের স্ত্রীকে আজ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

Updated By: Jul 17, 2016, 08:08 PM IST
নিসের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ওয়েব ডেস্ক: বাস্তিল দিবসের দুদিন আগেই ভাড়া করা ট্রাক নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছিল মহম্মদ লাহৌআয়েজ বৌলেল। নিসের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন ফরাসি তদন্তকারীরা। ঘটনার মোটিভ ও বৌলেলের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে আজ তার পরিচিতকে গ্রেফতার করেছেন গোয়েন্দারা। দুদিন জেরার পর বৌলেলের স্ত্রীকে আজ ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ফ্রান্সের বাস্তিল দিবস নিমেষে পরিণত হয় জাতীয় শোকদিবসে। রাতের আকাশে বাজির রোশনাই নিমেষে পাল্টে যায় নিকশ কালো অন্ধকারে। সমুদ্রের পাড়ে পরিচ্ছন্ন রাস্তাটা মুহূর্তে ঢাকা পড়ে যায় মৃতের সারিতে। একটি ট্রাক নিয়ে ভয়ঙ্কর হত্যালীলা চালায় তিউনিশীয় বংশোদ্ভূত মহম্মদ লাহৌআয়েজ বৌলেল। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ঘটনার সময় সে নাকি নার্ভাস ছিল। কিন্তু সত্যিই কি তাই? তদন্তে উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। বাস্তিল দিবসের দুদিন আগেই ওই ভাড়া করা ট্রাক নিয়ে ঘটনাস্থল ঘুরে গিয়েছিল বৌলেল!

নিঃসঙ্গতা থেকেই অবসাদ এবং তা থেকেই হিংসার ঝোঁক নাকি বেড়ে গিয়েছিল তার। যদি তাই হবে, তাহলে এত আটঘাঁট বেঁধে এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড সে কীভাবে চালাল? মানসিক বিকৃতি থেকেই যদি সে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে থাকে, তাহলে এমন নিপুণ ছক সে কীভাবে ছকল?

আর সেই রহস্য খুঁজতেই রবিবার গোয়েন্দারা গ্রেফতার করেন বৌলেলের পরিচিত দুই ফরাসি নাগরিককে। তাদের জেরা করে আরও একটি বিষয়ে প্রায় নিশ্চিত হয়েছেন ফরাসি তদন্তকারীরা। নিস হত্যাকাণ্ডে আইসিসের প্রত্যক্ষ কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন কম্যান্ডার হত্যার বদলা নিতেই নিসে ট্রাক হামলা, দায়স্বীকার ISIS-এর

তদন্ত এগোচ্ছে ঠিকই। কিন্তু হাহাকার থামেনি। এখনও পাগলের মতো পরিজনদের খুঁজে চলেছেন নিসবাসী। মৃত ৮৪ এবং আহত ১২১ জনের মধ্যেই হয়ত রয়েছেন তাঁদের আপনজন। কিন্তু কোথায়? উত্তর নেই।

দেশজুড়ে এখনও পালিত হচ্ছে জাতীয় শোক। গির্জায় গির্জায় প্রার্থনা। মোমবাতির আলোয় মৃতদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছে গোটা ফ্রান্স। বাদ নেই সিওলও। সেখানে বসবাসকারী ফরাসিরা নিসের মৃতদের শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। সিওলে ফরাসি দূতাবাসে অর্ধনমিত ছিল জাতীয় পতাকা।

.