ফের মার্কিন বিমানবন্দরে নিরাপত্তা-গেরোয় শাহরুখ খান

ফের শাহরুখ খানকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে। নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন বিমানবন্দরে কিং খানকে প্রায় দু`ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। মার্কিন মুলুকে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নয়া `ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর`।

Updated By: Apr 13, 2012, 09:51 AM IST

ফের শাহরুখ খানকে দীর্ঘক্ষণ আটকে রাখা হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে। নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন বিমানবন্দরে কিং খানকে প্রায় তিন ঘণ্টা আটকে  রাখা হয়। মার্কিন মুলুকে ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নয়া `ব্যান্ড অ্যাম্বাসাডর`। ইমিগ্রেশন চেকের সময় অভিবাসন দফতরের অফিসাররা কিং খানকে আড়াই ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে রাখেন। বিষয়টি জানার পর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে যোগাযোগ করা হয় আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা দফতর ও অভিবাসন দফতরের সঙ্গে। খবর যায় আমেরিকার ভারতীয় দূতাবাসেও। শেষ পর্যন্ত সম্মিলত তত্‍পরতায় প্রায় তিনঘণ্টা পর ছেড়ে দেওয়া হয় শাহরুখকে।
নির্ধারিত সময়ের পর ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষ সম্মান নিতে পৌঁছন শাহরুখ। সেখানে ছাত্রছাত্রীদের সামনে তিনি বলেন, আমার সঙ্গে এমনটাই হয়। প্রসঙ্গত, ওই ব্যক্তিগত বিমানটিতে বলিউড বাদশার সঙ্গেই ছিলেন রিলায়্যান্স কর্ণধার মুকেশ আম্বানির স্ত্রী নীতা আম্বানি। তাঁকে কিন্তু `নিরাপত্তার কারণে অপেক্ষা করানোর` প্রয়োজন মনে করেনি ওবামা প্রশাসন। এর আগে ২০০৯ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির নেওয়ার্ক বিমানবন্দরে দু'ঘণ্টা আটকে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল বলিউড বাদশাকে। প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রপতি এ পি জে আব্দুল কালামকেও একই ভাবে আমেরিকার বিমানবন্দরে হেনস্থার শিকার হতে হয়।
এদিন নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে শাহরুখ খানের হেনস্থার খবর প্রচারের পরি কড়া প্রতিক্রিয়া জানায় সাউথ ব্লক। বিদেশমন্ত্রীর এস এম কৃষ্ণর নির্দেশে কূটনৈতিক স্তরে ওয়াশিংটনের কাছে প্রতিবাদ জানান, আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নিরুপমা রাও। শেষ পর্যন্ত ওবামা সরকারের তরফে পুরো ঘটনার জন্য ক্ষমা চাওয়া হয় কিং খানের কাছে। যদিও একই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তিতে যথেষ্টই ক্ষুব্ধ নয়াদিল্লি। এদিন ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণ বলেছেন, "এ ভাবে বার বার বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া এবং পরে তার জন্য ক্ষমা চাওয়ার ঘটনা অভ্যেসে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই না ভবিষ্যতে এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হোক"।

.