খাঁচার পাখি উড়িয়ে দিয়েছিল, এই 'অপরাধে' ছোট্ট জোরাকে ধর্ষণ ও খুন পাকিস্তানি যুবকের
ভেন্টিলেটরে থাকার পর মৃত্যু হয় ৭ বছরের মেয়ের।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭ বছরের "শিশু শ্রমিককে" পিটিয়ে মারল এক বাবা। পাকিস্তানের রাওলাপিন্ডির ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা বিশ্ব। মুজ়াফরগড়ের জোরা শাহ ৪ মাস আগে রাওলাপিন্ডির একটি বাড়িতে কাজ করতে আসে। একটি শিশুকে দেখভাল করত সে। যাঁর বাড়িতে জোরা কাজ করত, তিনি পাখি ও সম্পত্তি কেনাবেচার ব্যবসা করতেন। ছোট্ট জোরাকে ধর্ষণ ও পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে ওই যুবকের বিরুদ্ধে।
খাঁচাবন্দি কয়েকটি পাখিকে খেলার ছলে মুক্ত আকাশে উড়িয়ে দিয়েছিল মেয়েটি। এটাই ছিল তার অপরাধ। জোরাকে বারবার লাথি মারে যুবকটি। যার ফলে তীব্র রক্তপাত শুরু হয়। তারপর হাসপাতালে জোরাকে ফেলে আসে ওই যুবক। ভেন্টিলেটরে থাকার পর মৃত্যু হয় ৭ বছরের মেয়ের। ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে জোরাকে 'নিজের মেয়ের মতো' রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তার বাবা মায়ের কাছ থেকে জোরাকে নিয়ে এসেছিল এই যুবক।
আরও পড়ুন: মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে কালি ছেটাল বিক্ষোভকারীরা, ক্ষমা চাইল আমেরিকা
জোরাকে মারার কথা পুলিসি হেফাজতে স্বীকার করে নিয়েছে ওই দম্পতি। যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা রুজু করেছে পাকিস্তানের পুলিস। তবে ধর্ষণের উপযুক্ত প্রমাণ ময়না তদন্তের রিপোরেট এলে তারপর মিলবে। সোমবারের এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে আম জনতা। "জাস্টিস ফর জোরা শাহ" এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে টুইটারে চলেছে তুমুল লেখালেখি। এর আগেও পাকিস্তানে ধর্ষণ করে খুন হয়েছিল ৭ বছরের জাইনব আনসারি,এখন জোরা।
একটি পাকিস্তানি শিশু সংরক্ষণ সংগঠন 'সাহিল' এর তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানে রোজ ১০ টি শিশু নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। জোরা শাহ সেই ঘটনার একটি উদাহরণ মাত্র। যে মহাদেশে শিশু শ্রমিক রক্ষার জন্য কৈলাশ সত্যার্থির মতো লোকেরা নোবেল পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। সেই মহাদেশের এই ঘটনায় হতবাক গোটা বিশ্ব।