মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে কালি ছেটাল বিক্ষোভকারীরা, ক্ষমা চাইল আমেরিকা
কে বা কারা এমন কাজ করল তাঁদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস।
নিজস্ব প্রতিবেদন - কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর আমেরিকা আর আগের জায়গায় নেই। একে তো করোনায় জেরবার ট্রাম্পের দেশ। আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা রোজ পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। তার মধ্যে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পর গোটা আমেরিকায় বিক্ষোভ কিছুতেই থামছে না। বর্ণবিদ্বেষের অপবাদ বহুদিন ধরেই মাথায় নিয়ে রয়েছে আমেরিকা। পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের খুন সেই অপবাদ আরও গুরুতর করে তুলেছে। বিক্ষোভকারীদের রোখা যাচ্ছে না। বিক্ষোভের আগুন ছড়িয়ে পড়ছে দেশজুড়ে। যার ফলে প্রবল চাপের মুখে ট্রাম্পের প্রশাসন। এবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে থাকা মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে কালি ছেটাল বিক্ষোভকারীরা।
মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিতে একদল বিক্ষোভকারী স্প্রে রং করে দিয়েছে। আপাতত মূর্তিটি ঢেকে রাখা হয়েছে। কে বা কারা এমন কাজ করল তাঁদের খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিস। ভারতে আমেরিকার রাষ্ট্রদূত কেন জেস্টার এই ঘটনার জন্য ভারতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। আমেরিকার পরিস্থিতি যে গুরুতর হয়ে উঠছে তা স্বীকার করেছেন জেস্টার। তবে তিনি মনে করেন জর্জের মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক এবং আমেরিকা খুব শিগগির এসব থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে। এদিকে জর্জ ফ্লয়েডের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ৩ এপ্রিল করোনা টেস্টে পজিটিভ হয়েছিলেন জর্জ। মৃত্যুর সময় তিনি করোনা পজিটিভ ছিলেন। তবে তাঁর শরীরে কোনও উপসর্গ ছিল না।
আরও পড়ুন- আন্তর্জাতিক উড়ান চালু করার ঘোষণা করল চিন, প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের
এদিকে ট্রাম্প জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারীদের ভয়ে তিনি হোয়াইট হাউসের বাংকারে লুকিয়ে পড়েননি। এমন খবর ভুয়া। তিনি বাংকার খতিয়ে দেখতে গিয়েছিলেন। আমেরিকার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মেটিস বলেছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকার মানুষের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে একবারও তিনি আমেরিকার মানুষকে এক সূত্রে বাঁধার চেষ্টা করেননি। জবাবে মেটিস কে অহংকারী জেনারেল বলেছেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত ২০১৮ সালে প্রতিরক্ষামন্ত্রীর দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান মেটিস। আটলান্টিকা ম্যাগাজিনে তিনি ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।