পৃথিবীর সবথেকে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, দাবি করলেন বিজ্ঞানীরাপৃথিবীর সবথেকে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা

প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জার্নাল-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ওই অঞ্চলে পৃথিবীর সব থেকে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

Updated By: Jun 3, 2020, 04:34 PM IST
পৃথিবীর সবথেকে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, দাবি করলেন বিজ্ঞানীরাপৃথিবীর সবথেকে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, দাবি করলেন বিজ্ঞানীরা

নিজস্ব প্রতিবেদন- পৃথিবীর সব থেকে বিশুদ্ধ বাতাস। সেখানে এখনও পর্যন্ত দূষণের কোনও প্রভাব পড়েনি। এমনকী মানুষের কর্মকাণ্ডও সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রভাব ফেলেনি। ভাবছেন হয়তো, এত পরিশুদ্ধ বাতাস আবার এই পৃথিবীতে আচে নাকি। এই দুনিয়ার প্রতিটি কোনাই তো মানুষের নাগালের মধ্যে। কিন্তু বিজ্ঞানীরা বলছেন, এখনও এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে মানুষের কর্মকাণ্ডের প্রভাব পড়েনি। কিছু অঞ্চল এমন রয়েছে যেখানকার হাতাস মানুষ এখনও বিষাক্ত করে তুলতে পারেনি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডো স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল বিজ্ঞানী দাবি করেছেন তাঁরা বিশ্বের সব থেকে বিশুদ্ধ বাতাসের খোঁজ পেয়েছেন। আলান্টিক মহাসাগরে এই বিশুদ্ধ বায়ুস্তরের অবস্থান বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। সেখানকার বাতাস এখনও মানুষের দ্বারা সৃষ্ট দৃষণে নষ্ট হয়নি।

আটলান্টিক মহাসাগরের বায়োএরোসল কম্পোজিশন নিয়ে গবেষণা করেছেন একদল বিজ্ঞানী। প্রসেডিংস অব দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জার্নাল-এ প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, ওই অঞ্চলে পৃথিবীর সব থেকে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। মানুষের জন্যই জলবায়ুর দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এমনকী বিশ্বের বহু অঞ্টলের পরিবর্তনেও মানুষের কর্মকাণ্ড প্রভাব বিস্তার করছে। সারা বিশ্বে বাড়ছে উষ্ণতা। ভবিষ্যতে এই উষ্ণায়ন বড় সমস্যার সৃষ্টি রেব বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। এমন পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ বাতাসের খোঁজ পাওয়াটা সুখবর লবলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা মনে করছেন, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এখনও বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে গেলে বিশুদ্ধ বাতাসের সন্ধান পাওয়া যেতে পারে।

আরও পড়ুন- ভারত, পাকিস্তান উত্পাতে অতিষ্ঠ! বাংলাদেশের দিকে কেন যাচ্ছে না পঙ্গপালের ঝাঁক?

অস্ট্রেলিয়ার তাসমানিয়া থেকে অ্যান্টার্টিকার একটি বিস্তীর্ণ অঞ্ল পর্যন্ত জলপথে ভ্রমণ করে সামুদ্রিক স্তর থেকে বাতাসের নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন বিজ্ঞানীরা। যে বায়ুমণ্ডলের বিশ্বের সব থেকে পরিশুদ্ধে বাতাসের সন্ধান পেয়েছেন তাঁরা সেই অংশটির সঙ্গে সমুদ্রের সরাসরি সম্পৃক্ততা রয়েছে।ওই অঞ্চলের বাতাসে কোনও ধরনের ক্ষতিকর রাসায়নিক কণা নেই। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, অন্যান্য অঞ্চলের সমুদ্রের বাতাসের থেকে আটলান্টিকের ওই অঞ্চলের আবহাওয়া একেবারেই ভিন্ন। কলকারখানা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া, মানুষের সৃষ্ট বর্জ্য থেকে উত্পন্ন কোনও কিছুর প্রভাব এখনো পর্যন্ত সেখানকার বাতাসে প্রভাব ফেলেনি। 

.