নওয়াজের ক্ষমার সুর কটাল হাফিজের হুমকির রক্তচক্ষুতে

শেষ অবধি পুঞ্চে পাঁচ ভারতীয় সেনার হত্যা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন বটে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু তাতে চিড়ে ভিজল না। নওয়াজ শরিফের ক্ষমার সুর কাটল ২২ গজের ছায়ায় হাফিজের উপস্থিতে।

Updated By: Aug 9, 2013, 03:10 PM IST

শেষ অবধি পুঞ্চে পাঁচ ভারতীয় সেনার হত্যা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন বটে পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। কিন্তু তাতে চিড়ে ভিজল না। নওয়াজ শরিফের ক্ষমার সুর কাটল ২২ গজের ছায়ায় হাফিজের উপস্থিতে।
দিল্লিতে নাশকতার ছক কষছে মুম্বই হামলার মূল চক্রী হাফিজ সইদ৷ এই মর্মে গোয়েন্দা বিভাগ দিল্লি পুলিসকে সতর্ক করা হয়েছে৷
মুম্বই হামলার  মাস্টারমাইন্ড লস্কর জঙ্গি হাফিজ মহম্মদ সইদকে দেখা গেল ইদের প্রার্থনায়। লাহোরের গদ্দাফি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ ইদের নমাজ পড়তে দেখা যায় তাকে। হাফিজ সইদের বিরুদ্ধে মুম্বই হামলায় জড়িত থাকার যথেষ্ট তথ্য-প্রমাণ পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া সত্ত্বেও তাকে গ্রেফতার করেনি ইসলামাবাদ। 
টুইট করে ইদের শুভেচ্ছা বার্তা রেখেছেন ওই লস্কর জঙ্গি। সেই বার্তায় কড়া ভারত বিরোধী মন্তব্য রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 
এই ঘটনা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। পাঁচ ভারতীয় সেনার হত্যার ঘটনায় নয়াদিল্লির সঙ্গে ইসলামাবাদের কূটনৈতিক স্তরে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। হাফিজ সইদের প্রকাশ্য উপস্থিতি তাতে বাড়তি ইন্ধন যোগাবে বলেই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।
এদিকে পুঞ্চে পাঁচ ভারতীয় সেনার হত্যা ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করলেন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। একই সঙ্গে ফাটল ধরা সম্পর্ককে জোড়া লাগাতে উদ্যোগীও হয়েছেন তিনি। আগামী মাসেই নিউইয়র্কে মুখোমুখি হচ্ছেন দুদেশের প্রধানমন্ত্রী। আস্থা বাড়াতে সেই মঞ্চকেই ব্যবহারের চেষ্টা করতে চান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। ইসলামাবাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
কারা হত্যা করেছে পাঁচ ভারতীয় সেনাকে? ঘটনার তিনদিন পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্টনির বক্তব্য সরাসরি জড়িত পাকসেনা।
 
আর এই অভিযোগের পর আর কালক্ষেপ করেনি ইসলামাবাদ। ফাটল মেটাতে তড়িঘড়ি ময়দানে নেমে পড়েন স্বয়ং পাক প্রধানমন্ত্রী। সৌদি আরব সফর সেরে দেশে ফিরেই বিদেশমন্ত্রক আর ফৌজি অফিসারদের নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। পাঁচ ভারতীয় সেনার মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেছেন নওয়াজ শরিফ। কিন্তু, এতেই যে সীমান্তের ওপারে জমাট বাঁধা বরফটা গলবে না, তা বেশ বুঝতে পেরেছেন তিনি। আর সেই কারণেই আস্থা বাড়াতে নিউইয়র্কের মঞ্চকে ব্যবহারের চেষ্টা শুরু করে দিলেন নওয়াজ শরিফ।
আগামী মাসেই নিউইয়র্কে মনমোহন সিংয়ের মুখোমুখি হবেন শরিফ। সেখানেই তুলবেন দুদেশের সম্পর্কের ইস্যুটি। পাক প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও সতর্ক প্রতিক্রিয়াই দিয়েছে নয়াদিল্লি। কিন্তু, এখন কোন পথে হাঁটবে মনমোহন সিং সরকার? বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যেই স্পষ্ট ইঙ্গিত, সুর চড়া করার পথ আপাতত এড়িয়েই চলতে চায় ভারত।
 
সামনেই লোকসভা ভোট। পুঞ্ছ নিয়ে সরকারের ভূমিকা এখন বিরোধীদের নিশানায়। ক্রমশ বাড়ছে চাপও। কিন্তু, আলোচনার পথ বন্ধ করে প্রতিবেশীর ওপর চাপসৃষ্টির রাস্তাটা সম্ভবত এড়িয়েই চলতে চাইছে মনমোহন সিং সরকার।

Tags:
.