‘ফেরত পাঠাবেন না, পরিবারের লোকজন মেরে ফেলবে’, কাতর আবেদন ব্যাঙ্ককে আটক সৌদি তরুণীর
কানুনকে বর্তমানে ব্যাঙ্ককের একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কানুন
নিজস্ব প্রতিবেদন: সৌদি এক তরুণীকে নিয়ে এখন সমস্যা পড়েছেন থাই অভিবাসন আধিকারিকরা। ওই তরুণীর আকুল আবেদন, ‘দেশে ফেরাবেন না। দয়া করে আশ্রয় দিন। দেশে ফিরলে আমার পরিবার আমাকে মেরে ফেলবে।‘ পরিবারের সঙ্গে কুয়েতে বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে থাইল্যান্ড পালিয়ে আসেন ওই তরুণী।
আরও পড়ুন-ফেসবুকে স্ত্রী সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য, থানায় ডেকে যুবককে বেধড়ক মার জেলাশাসকের
বছর আঠারোর রাহাফ মোহাম্মদ আল-কানুন সংবাদসংস্থা এএফপিকে জানিয়েছেন কুয়েতে পরিবারের সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে সেখান থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন। কারণ তিনি তাঁর পরিবারের অত্যাচার থেকে মুক্তি চান। তিনি চেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়া চলে যেতে। রবিবার ওই তরুণী ব্যাঙ্কক বিমানবন্দরে থাই অভিবাসন আধিকারিকদের হাতে ধরা পড়েন। তবে কেন তার পরিবার তাঁর ওপরে অত্যাচার করে তা এখনও স্পষ্ট নয়। থাই অভিবাসন দফতরের প্রধান সুরাচেতে হাকপ্রান সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, কানুনকে ফেরত পাঠানো হবে। সৌদি দূতাবাসের আধিকারিকরা তাঁর সঙ্গে রয়েছেন।
Here is Rahaf in her hotel room: “I am Rahaf @rahaf84427714 the plane has departed I am in the hotel I need a country to protect me as soon as possible I am seeking asylum.” #SaveRahaf #RahafAlQanun pic.twitter.com/6Ir0pZ58BU
— Mona Eltahawy (@monaeltahawy) January 7, 2019
This is @rahaf84427714: help her! “Based on the 1951 Convention and the 1967 Protocol, I'm Rahaf Mohammed, formally seeking refugee status to any country that would protect me from getting harmed or killed due to leaving my religion and torture from my family. #SaveRahaf pic.twitter.com/oxKHYxpE91
— Mona Eltahawy (@monaeltahawy) January 7, 2019
কানুন সংবাদমাধ্যমে আবেদন জানিয়েছেন, থাই সরকারের কাছে অনুরোধ, কুয়েতে আমাকে ফেরত পাঠাবেন না। বরং এখানে আমাকে আশ্রয় দেওয়ার ব্যবস্থা করুন। প্রসঙ্গত কানুনকে বর্তমানে ব্যাঙ্ককের একটি হোটেলে রাখা হয়েছে। সেখান থেকে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন কানুন।
আরও পড়ুন-ড্রাইভিং লাইসেন্সের সঙ্গেও যোগ করতে হবে আধার, নতুন আইন আনছে কেন্দ্র
মোনা এলটাওয়ে নামে একটি টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে একটি কানুনের একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। পাশাপাশি একটি টুইটও করা হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, ১৯৫১ সালের কনভেনশন ও ১৯৬৭ সালের প্রটোকল অনুযায়ী আমি রাহাফ মোহাম্মদ এখন যে কোনও দেশে আশ্রয় চাইছি। আমি ধর্ম ত্যাগ করেছি। এখন আমার পরিবারের অত্যাচার ও খুন হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে চাই। আমি একশো শতাংশ নিশ্চিত ঘরে ফিরলে আমাকে আমার পরিবারের লোকজন মেরে ফেলবে।
হিমম্যান রাইটস ওয়াচ-এর প্রতিনিধি ফিল রবার্টসন সংবাদমধ্যমে জানিয়েছেন, সৌদি আরবের অনার কিলিংয়ের রেকর্ড অনুয়ায়ী রাহাফ মোহাম্মদ কানুনের খুন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। থাইল্য়ান্ডের উচিত কানুনকে রাষ্ট্রসংঘ হাই কমিশনে গিয়ে আশ্রয়প্রার্থী হিসেবে আবেদনের সুযোগ দেওয়া।