Russia-Ukraine War: ইউক্রেন অস্ত্র সমর্পণ করলেই আলোচনায় রাজি, বার্তা রাশিয়ার
অবশেষে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিল রাশিয়া।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আমেরিকা ও ন্যাটোর হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও ইউক্রেনে দুদিন ধরে ‘সামরিক অভিযান’ (Russia-Ukraine War) জারি রেখেছে রাশিয়া। হঠাৎ করে পাল্টে গিয়েছে পরিস্থিতি। চেনা ইউক্রেন যেন রাতারাতি পাল্টে গিয়েছে। মারা গিয়েছেন একশোর বেশি ইউক্রেনের সেনা। যুদ্ধ ঘোষণা করেই একসঙ্গে ইউক্রেনের ১১ টি শহরে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া। রাজধানী কিয়েভ সহ ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বিভিন্ন শহরকে নিশানা করা হয়েছে।
অবশেষে প্রায় ৪৮ ঘণ্টা পর ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দিল রাশিয়া। বিদেশমন্ত্রী লাভরভ জানিয়েছেন, ইউক্রেন অস্ত্র রেখে দিলে কিয়েভের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি মস্কো। পাল্টা প্রতিরোধ করা চলবে না। চিনা সরকারের আধিকারিকের দাবি, ইউক্রেনের সঙ্গে কথা বলতে রাজি পুতিন। কিছুক্ষণ আগেই চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে পুতিনের।
চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ইউক্রেনের সঙ্গে আলোচনার আর্জি জানিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে, 'ঠান্ডা যুদ্ধ'-র প্রায় ৪০ বছর পর ফের দু'ভাগে বিভক্ত বিশ্ব। একদিকে ইউক্রেনের পাশে দাঁড়িয়েছে আমেরিকা এবং রাশিয়াকে সমর্থন করছে চিন। এই পরিস্থিতিকে অনেকেই 'তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ'র আগের মুহূর্ত বলে ব্যাখ্যা করছেন।
আগেই চিন জানিয়ে দিয়েছে যে এই লড়াইয়ে রাশিয়ার পাশে রয়েছে তাঁরা। এছাড়া একসময়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা আর্মেনিয়া, কাজাখস্তান, কর্গিস্তান, তাজিকিস্তান এবং বেলারুসের সমর্থন পাচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। আফগানিস্তানের তালিবান শাসক কায়েম হওয়ার পর সুরক্ষার স্বার্থে পশ্চিম এশিয়ার দেশগুলো রাশিয়াকেই সমর্থন করবে। আজারবাইজান এবং মধ্য প্রাচ্যের ইরানকেও পাশে পাবে মস্কো। এছাড়া পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হলে উত্তর কোরিয়ারও সমর্থন পাবে রাশিয়া।
অন্যদিকে, ন্যাটো (NATO) অন্তর্ভুক্ত ইউরোপিয় দেশগুলোকে পাশে পাবে ইউক্রেন। বেলজিয়াম, কানাডা, ডেনমার্ক, ফ্রান্স, আইসল্য়ান্ড, ইতালি, লাক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, পর্তুগাল, ব্রিটেন এবং আমেরিকার সমর্থন পাবে ইউক্রেন। এছাড়া জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং অস্ট্রেলিয়াও ইউক্রেনকে সমর্থন করছে। তবে এই পরিস্থিতির মধ্যেই শুক্রবার বিকেলেই প্রকাশ্যে আসে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রীর ঘোষণা।
আরও পড়ুন, Russia-Ukraine War: Ukraine-র সেনাবাহিনীর জন্য বাড়ছে বিটকয়েন অনুদান