এবার যৌনপল্লীতে থাকতে চলছে রোবট যৌনকর্মী!
মানুষ ক্রমশ রোবটের মত যান্ত্রিক হয়ে পড়ছে। ফেসবুক,স্মার্টফোন যুগের মানুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের সব আছে শুধু নাকি মন নামক পদার্থটাই হারিয়ে যাচ্ছে। কল্প বিজ্ঞানের সিনেমাতে দেখানো হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষের সমাজ চালনা করবে বোরটাই। সেটা কতটা সত্যি হবে সেটা সময়ই বলবে, কিন্তু এক ইউরোপিয়ান সংস্থার সমীক্ষায় যা উঠে এল তাতে সত্যি চমকপ্রদ। বলা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে যেকোনও যৌনপল্লীতে মানুষ যৌনকর্মীর বদলে থাকবে রোবট-চালিত যৌনকর্মী।
ওয়েব ডেস্ক: মানুষ ক্রমশ রোবটের মত যান্ত্রিক হয়ে পড়ছে। ফেসবুক,স্মার্টফোন যুগের মানুষদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তাদের সব আছে শুধু নাকি মন নামক পদার্থটাই হারিয়ে যাচ্ছে। কল্প বিজ্ঞানের সিনেমাতে দেখানো হচ্ছে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই মানুষের সমাজ চালনা করবে বোরটাই। সেটা কতটা সত্যি হবে সেটা সময়ই বলবে, কিন্তু এক ইউরোপিয়ান সংস্থার সমীক্ষায় যা উঠে এল তাতে সত্যি চমকপ্রদ। বলা হচ্ছে ২০৫০ সালের মধ্যে যেকোনও যৌনপল্লীতে মানুষ যৌনকর্মীর বদলে থাকবে রোবট-চালিত যৌনকর্মী।
যৌনপল্লীকে সম্পূর্ণ অপরাধ-মুক্ত বানানোর পরিকল্পনা থেকেই এই রোবট-চালিত যৌনকর্মীর ভাবনা-চিন্তা। দেখা যাচ্ছে যৌনকর্মীদের নানা তথ্য দেওয়া-নেওয়া, বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। তাই এটা আটকাতেই রোবট-চালিত যৌনকর্মীজের আনার কথা ভাবা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম পরিচিত যৌনপল্লী অ্যামস্টারডামের রেড লাইট এলাকায় সবার আগে আনা হবে এই রোবট যৌনকর্মীদের। ২০০৮ সালে এই যৌনপল্লী বন্ধ হয়ে যায়। আবার নতুন করে, আরও ঝকঝকে করে খুব শীঘ্রই খোলা হবে এই যৌনপল্লী। আর তাতে বেশিরভাগ যৌন কর্মীই হবে রোবট।
পরিষেবা উপভোগ করতে হলে খরচ করতে হবে দশ হাজার ডলার মতো। ফিউচার নামের এক জার্নালে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, ইয়াব-ইয়াম যখন খুলবে, তখন এখানে উন্নতমানের প্রযুক্তির ব্যবহার হবে। ফর্সা এবং শ্যামাঙ্গি দুধরনের যৌনকর্মীই থাকবে। তবে তাঁরা কেউই মানুষ হবে না, সবাই হবে রোবট-চালিত যৌনকর্মী। ইয়াব-ইয়ামের ক্লাবে সবধরনে পরিষেবা পাওয়া যাবে, তবে সেখানকার সব কাজই হবে অ্যানড্রয়েডের ব্যবহারে। এরফলে যৌন সংক্রমিত রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যাবে। গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ক্লাবেরোগা বা মোটা, স্বাস্থ্যবতী, শ্বেতাঙ্গ বা কৃষ্ণাঙ্গ, বিভিন্ন বয়স এবং অনেক ভাষা জানা রোবট যৌনকর্মী পাওয়া যাবে। সব দেশের সব ধরনের মানুষের চাহিদা মেনেই পাওয়া যাবে রোবট যোনকর্মীদের পরিষেবা। যেমন মধ্য প্রাচ্যের ব্যবসায়ীদের বেশি পছন্দ লম্বা, ফর্সা, রাশিয়ান মহিলারা, তাই সেই আদলের রোবটই পাওয়া যাবে বেশি।
তবে আশঙ্কার একটা দিকও রয়েছে। রোবট-চালিত যৌনকর্মীরা এসে গেলে, মানুষ যৌনকর্মীর চাহিদা কমে যাবে। কারণ, তাঁরা খুব ভাল পরিষেবা দেওয়ার জন্যে যে টাকা দাবি করবেন, তার তুলনায় রোবট-চালিত যৌনকর্মীরা অনেক কম টাকায় ভাল পরিষেবা দেবে।