ক্যালিফোর্নিয়ায় উদ্ধারকেন্দ্রে নিরাপদ আশ্রয় দলছুট পেঙ্গুইনদের
দল বেঁধে ওরা বেরিয়েছিল খাবারের খোঁজে। সন্ধানও মিলেছিল। কিন্তু, সেই খাবারের পিছু ধাওয়া করতে করতেই হারিয়ে গিয়েছিল পথ। ঠিকানা হারিয়ে ৪টি খুদে পেঙ্গুইনের ঠাঁই হয়েছিল ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর সৈকতে। আর সেখান থেকেই ওদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
দল বেঁধে ওরা বেরিয়েছিল খাবারের খোঁজে। সন্ধানও মিলেছিল। কিন্তু, সেই খাবারের পিছু ধাওয়া করতে করতেই হারিয়ে গিয়েছিল পথ। ঠিকানা হারিয়ে ৪টি খুদে পেঙ্গুইনের ঠাঁই হয়েছিল ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর সৈকতে। আর সেখান থেকেই ওদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ায়।
চিলি আর আর্জেন্টিনার সৈকতে ওরা থাকতো পরিবার আর পড়শিদের নিয়েই। কিন্তু, কৈশোরে পা দিতেই মনের কোণে সম্ভবত উঁকি দিয়েছিল অ্যাডভেঞ্চার। আর তাই সমুদ্রে ভাসতে থাকা খাবারকে ধাওয়া করতে এতটুকুও ভয় করেনি এই ৪টি পেঙ্গুইনের। তখন অবশ্য বুঝতেও পারেনি এভাবে সমুদ্রে ভেসে পড়লে হারাতে হতে পারে পথ। হলও সেটাই। পথ হারিয়ে ওরা এসে পৌঁছেছিল ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর সৈকতে। কিন্তু, প্রতিকূল পরিবেশ আর খাদ্যের অপ্রতুলতার কারণে পেঙ্গুইন শাবকগুলিকে ওখানে বাঁচিয়ে রাখা দিন দিন কঠিন হয়ে পড়ছিল। আর সেই কারণেই একদিন বিমানে করে ওদের উড়িয়ে নিয়ে আসা হয় ক্যালিফোর্নিয়ার এই পেঙ্গুইন রেসকিউ সেন্টারে। ৩,০০০ বর্গফুটের বিশাল চৌবাচ্চায় এক্কেবারে ওদের চাহিদা অনুযায়ী তাপমাত্রার জল। নিয়ম করে খাওয়া দাওয়া আর দিনভর ভেসে বেড়ানো। ফেলে আসা আর্জেন্টিনা সৈকতকে হয়তো আর তেমনভাবে মনেও পড়ে না ওদের।
ক্যালিফোর্নিয়ার এই অ্যাকোয়ারিয়াম কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, দক্ষিণ আমেরিকা আর মার্কিন মুলুকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এরকম ১৩টি ম্যাগেলানিক পেঙ্গুইনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে এখানে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দ্রুত পরিবেশ পরিবর্তনের ফলে কমে আসছে পেঙ্গুইনদের খাবারের প্রতুলতা। আর তাই খাবারের সন্ধানে ওরা বেরিয়ে পড়ে দলবেঁধে। পথও ভুলে যায় মাঝেমধ্যেই। আর সেইসব পথভোলা পেঙ্গুইনদের জন্যই খোলা রয়েছে ক্যালিফোর্নিয়ার এই উদ্ধারকেন্দ্রের দরজা।