লিঙ্গ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ফেসবুকের দৃঢ় পদক্ষেপ, এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে স্বীকৃতি পেল তৃতীয় লিঙ্গ, ভিন্ন যৌনতা
লিঙ্গ বৈষম্যকে বিরুদ্ধে এক অসাধারণ পদক্ষেপ নিল ফেসবুক। এবার ফেসবুক জগতের অধিবাসী হতে গেলে স্ত্রী বা পুরুষ এই দুই লিঙ্গের মধ্যেই শুধু নিজেকে বেঁধে রাখার প্রয়োজন নেই। এককথায় সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে এই প্রথম স্বীকৃতি পেল তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার। `অন্য` মন আর `অন্য` শরীরের অধিকার। এবার থেকে নিজের লিঙ্গের পরিচয় দিতে গেলে ফেসবুকে থাকছে `হিম`, `হার` ও `দেম` এই তিনটি অপশন। সঙ্গে থাকছে ৫০টি বিভিন্ন টার্মস, যে গুলির মাধ্যমে ইচ্ছামত কেউ তার লিঙ্গকে (জেন্ডার)বোঝাতে ব্যবহার করতে পারবে।
লিঙ্গ বৈষম্যকে বিরুদ্ধে এক অসাধারণ পদক্ষেপ নিল ফেসবুক। এবার ফেসবুক জগতের অধিবাসী হতে গেলে স্ত্রী বা পুরুষ এই দুই লিঙ্গের মধ্যেই শুধু নিজেকে বেঁধে রাখার প্রয়োজন নেই। এককথায় সোশ্যাল মিডিয়ার জগতে এই প্রথম স্বীকৃতি পেল তৃতীয় লিঙ্গের অধিকার। 'অন্য' মন আর 'অন্য' শরীরের অধিকার। এবার থেকে নিজের লিঙ্গের পরিচয় দিতে গেলে ফেসবুকে থাকছে 'হিম', 'হার' ও 'দেম' এই তিনটি অপশন। সঙ্গে থাকছে ৫০টি বিভিন্ন টার্মস, যে গুলির মাধ্যমে ইচ্ছামত কেউ তার লিঙ্গকে (জেন্ডার)বোঝাতে ব্যবহার করতে পারবে।
বৃহস্পতিবার নিজেদের পেজে এই পরিবর্তন নিয়ে এল ফেসবুক। কেউ এবার ইচ্ছামত নিজেকে androgynous, bi-gender, intersex, gender fluid or transsexual সহ বিভিন্ন পরিচয়ে পরিচিত করতে পারবেন। ফলে ফেসবুকের পাতায় এবার কোনও মানুষ নিজেকে যেভাবে, যে লিঙ্গের মানুষ হিসাবে ভাবতে পছন্দ করেন সে ভাবনাই স্বীকৃতি পাবে।
'হয়ত অনেকের কাছেই আমাদের এই নতুন পদক্ষেপ অপ্রয়োজনীয় মনে হবে। কিন্তু হয়ত অনেকের কাছে তাঁদের স্বত্ত্বা, তাঁদের যৌনতার স্বীকৃতি মানে গোটা পৃথিবীটাই।'' মন্তব্য ফেসবুকের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র ব্রিল হ্যারিসনের। হ্যারিসন নিজে এই প্রোজেক্টে কাজ করেছেন। হ্যারিসন একজন ট্রান্সসেক্সুয়াল, বর্তমানে যিনি লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ থেকে নারী হওয়ার পথে। হ্যারিসন জানিয়েছেন এবার থেকে তিনি ফেসবুক প্রোফাইলে নিজেকে 'ট্রান্স উইম্যান' বলে চিহ্নিত করবেন।
'ভিন্ন' যৌনতার মানুষদের যৌন স্বত্বার পরিচয় সারা পৃথিবী জুড়ে এখনও ভীষণই ভাবে অবহেলিত। এখনও বেশিরভাগ জায়গায় তাঁদের শুনতে হয় একটি প্রশ্ন 'আপনি নারী না পুরুষ?'। ফেসবুকের এই নতুন পদক্ষেপের মাধ্যমে বহু মানুষ তাঁদের যৌনস্বত্বার আসল পরিচয় (নিজেকে তিনি ঠিক যে লিঙ্গ বা যৌনতার অংশ হিসাবে মনে করেন)সারা পৃথিবীর ১.১৫ বিলিয়ন (ফেসবুকের এখনও পর্যন্ত সদস্যসংখ্যা) মানুষের কাছে পরিচয় খুঁজে পাবে।