‘কাস্ত্রো-হীন’ হাভানার মসনদ! কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন দিয়াজ ক্যানেল
ক্ষমতায় আসার পর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের বেনজির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাউল। ওয়াশিংটনের সঙ্গে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন তিনি
নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রায় সাড়ে তিন দশক পর কিউবার প্রেসিডেন্ট হলেন কাস্ত্রো পরিবারের বাইরে কোনও ব্যক্তি। বুধবার রাউল কাস্ত্রো প্রেসিডেন্ট পদ থেকে অবসর নেওয়ার পর আফ্রিকা বংশোদ্ভূত কিউবার ভাইস প্রেসিডেন্ট দিয়াজ ক্যানেল তাঁর স্থলাভিষিক্ত হলেন। এদিন রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ভোটাভুটির মাধ্যমে দিয়াজকে প্রেসিডেন্ট মনোনীত করা হয় বলে জানা গিয়েছে। ৫৭ বছর বয়সী দিয়াজ-ই ছিলেন প্রেসিডেন্ট পদে রাউল কাস্ত্রোর প্রথম পছন্দ।
আরও পড়ুন- প্রয়াত প্রাক্তন মার্কিন ফার্স্ট লেডি বারবারা বুশ
দশ বছর কিউবার ক্ষমতায় থাকার পর বুধবার অবসর নেন ফিদেলে কাস্ত্রোর ভাই রাউল। রাউলের জমানা থেকেই কমিউনিস্ট দেশটিতে বেশ কিছু ক্ষেত্রে পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। সেই পরিবর্তনকে জারি রাখতে দিয়াজ প্রচেষ্টা চালাবেন বলে মনে করছেন কিউবার নাগরিকরা। তবে, কিউবার অর্থনৈতিক পরিকাঠামোর উন্নয়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাত ধরা নিয়ে তিনিই যে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন এদিন তা হাবভাবে বুঝিয়ে দিয়েছেন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট।
আরও পড়ুন- কিমের সঙ্গে গোপন বৈঠক মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানের, দুনিয়া জুড়ে শোরগোল
ক্ষমতায় আসার পর প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে সাক্ষাতের বেনজির সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাউল। ওয়াশিংটনের সঙ্গে নতুন করে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন তিনি। রাউলের জমানা থেকেই সমাজে দলীয় রাজনীতির প্রভাব আলগা হতে শুরু করে। ইন্টারনেটের বিস্তার ঘটে। হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে বিউটি পার্লারের মতো ছোট ছোট ব্যবসা গজিয়ে ওঠে কিউবায়। সাবেক রাশিয়ার ভাবনায় তৈরি কিউবার বাণিজ্যিক পরিকাঠামোকে ভেঙে কতটা বিশ্বায়নের পথে হাঁটতে পারবেন দিয়াজ, সে দিকেই নজর কিউবা-সহ গোটা বিশ্বের।
আরও পড়ুন- কাঠুয়া নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে, লন্ডনে ভারতীয়দের সঙ্গে আলাপচারিতায় বললেন মোদী