বর্তমান সময় ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য সঠিক নয়, মত চিনা আমলাদের
বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয় বলে জানিয়ে দিল চিনের শীর্ষ স্থানীয় আমলারা। আগামী কাল থেকে জার্মানির হামবুর্গে শুরু হতে চলা জি-২০ বৈঠকে চিনা রাষ্ট্রপতি জাই জিন পিং-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকের সম্ভবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল, এই বৈঠক থেকে একটা সমাধন সূত্র মিলতে পারে। কিন্তু চিনা আমলাদের এই বার্তায় সেই সম্ভবনার উপর এখন অনেকটাই অনিশ্চয়তার মেঘ। এদিকে, ভারত-ভূটান-চিন সীমান্তে ভারতীয় ও চিনা সেনা বাহিনীর চাপানউতোর যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে এই মুহূর্তে দুই দেশই পরস্পরকে উত্তপ্ত ও কড়া বার্তা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর সেই আবহেই জি-২০ বৈঠকের প্রাক্কালে এই বার্তা দিল চিনা আমলা মহল।
ওয়েব ডেস্ক: বর্তমান পরিস্থিতি ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য একেবারেই উপযুক্ত নয় বলে জানিয়ে দিল চিনের শীর্ষ স্থানীয় আমলারা। আগামী কাল থেকে জার্মানির হামবুর্গে শুরু হতে চলা জি-২০ বৈঠকে চিনা রাষ্ট্রপতি জাই জিন পিং-এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর বৈঠকের সম্ভবনার কথা শোনা যাচ্ছিল। মনে করা হচ্ছিল, এই বৈঠক থেকে একটা সমাধন সূত্র মিলতে পারে। কিন্তু চিনা আমলাদের এই বার্তায় সেই সম্ভবনার উপর এখন অনেকটাই অনিশ্চয়তার মেঘ। এদিকে, ভারত-ভূটান-চিন সীমান্তে ভারতীয় ও চিনা সেনা বাহিনীর চাপানউতোর যে জায়গায় পৌঁছেছে তাতে এই মুহূর্তে দুই দেশই পরস্পরকে উত্তপ্ত ও কড়া বার্তা দিচ্ছে প্রতিনিয়ত। আর সেই আবহেই জি-২০ বৈঠকের প্রাক্কালে এই বার্তা দিল চিনা আমলা মহল।
Atmosphere not right for bilateral meeting between President #Xi and PM #Modi at #G20 Summit in Hamburg: Chinese Foreign Ministry officials.
— Press Trust of India (@PTI_News) July 6, 2017
প্রসঙ্গত, ভূটান সীমান্তে প্রথম চিনা আগ্রাসনের অভিযোগ তোলা হয় ভারতের পক্ষ থেকে। কিন্তু চিন সেই দাবি সম্পূর্ণ নাকচ করে দিয়ে উল্টে দাবি করে যে, ভারতীয় সেনাই বরং কমিউনিস্ট ভূখণ্ডে অবৈধভাবে প্রবেশ করেছে। এরপরই বেজিং-এর তরফে বলা বলা হয়, ভারত 'উদ্ধত আচরণ করছে' এবং ভারতীয় সেনা আন্তর্জাতিক আইনকানুন সম্পর্কে সম্যক অবগত নয়। এর পরই পাল্টা প্রতিক্রিয়া হিসাবে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী অরুণ জেটলি চিনকে সমঝে দিয়ে বলেন, চিন যদি আজকের ভারতকে বাষট্টির (১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধ) ভারত ভেবে থাকে তাহলে ভুল করছে। আর এর পরেই গতকাল বেজিং-এর সরকারি প্রচারযন্ত্র জানিয়ে দেয় যে, নয়া দিল্লিকে এবার বাষট্টির চেয়েও তেঁতো শিক্ষা দেওয়া হবে। ফলে, পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে তাতে দুই দেশের বৈঠক কার্যত অসম্ভবই হয়ে দাঁড়িয়েছে, আর সেকথাই শোনা গেল চিনা আমলাদের গলায়। তবে মোদী-জিনপিং বৈঠক বাতিল হয়ে গেল এটা এখনও নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। (আরও পড়ুন- 'মোদী ফুলে'র সৌরভে বিকশিত ইজরায়েল)