টাইফুনের দাগ মুছতে না মুছতেই মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে প্রেসিডেন্টের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়
টাইফুনে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট। হাইয়ানের দাপটে কমপক্ষে ১০ হাজার জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর অনুমান, আড়াই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়নি। রাষ্ট্রসংঘের মানবিক বিভাগের তরফে ঝড় বিধ্বস্ত ফিলিপিন্সের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ত্রাণ সাহায্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
টাইফুনে মৃতের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আরও বাড়িয়ে দিলেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট। হাইয়ানের দাপটে কমপক্ষে ১০ হাজার জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে। কিন্তু ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনোর অনুমান, আড়াই হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়নি। রাষ্ট্রসংঘের মানবিক বিভাগের তরফে ঝড় বিধ্বস্ত ফিলিপিন্সের জন্য ২৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ত্রাণ সাহায্য বরাদ্দ করা হয়েছে।
বিধ্বংসী ঝড় গুঁড়িয়ে দিয়েছে সব কিছু। বাড়ি থেকে গাড়ি, প্রকৃতির রুদ্ররোষ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। রাষ্ট্রসংঘের তরফে জানানো হয়েছে, এক কোটি দশ লক্ষ মানুষ হাইয়ানের তাণ্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শুধু ঘরছাড়া মানুষের সংখ্যাই ৬ লক্ষ ৭৩ হাজার। তাদের বড় অংশ এখনও খাবার, পানীয় জল বা ওষুধের মতো প্রয়োজনীয় জিনিস পাচ্ছে না। বিপর্যয়ের ভয়াবহতা যেখানে এমন মাত্রায়, সেখানে মৃত্যুর সংখ্যাটা কত? রাষ্ট্রসংঘের আশঙ্কা, সংখ্যাটা কোনওভাবেই দশ হাজারের কম নয়।
বিপর্যয়ের পরে পরেই পুলিস ও স্থানীয় প্রশাসনের তরফেও একই কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট বেনিগনো অ্যাকুইনো এবিষয়ে পুরো ভিন্নমত। একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাত্কারে তিনি বলেছেন, হাইয়ানে মৃতের সংখ্যা খুব বেশি হলে আড়াই হাজারের মতো হবে। ১০ হাজার মৃত্যুর আশঙ্কা অতি বাড়াবাড়ি বলে দাবি করেছেন তিনি। অ্যাকুইনোর বক্তব্য, আতঙ্কের কারণেই আশঙ্কা আরও বেড়েছে। তার জেরে তরতরিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যার অনুমান। মঙ্গলবার পর্যন্ত পাওয়া সরকারি হিসেব অনুযায়ী হাইয়ানে এক হাজার সাতশো চুয়াত্তর জনের মৃত্যু হয়েছে। রাষ্ট্রসংঘের মানবিক বিভাগের তরফে, টাইফুন বিধ্বস্তদের জন্য ২ কোটি পঞ্চাশ লক্ষ মার্কিন ডলার আর্থিক সাহায্য ঘোষণা করা হয়েছে। ম্যানিলা থেকে রাস্তা খোলায়, ত্রাণ সরবরাহ শুরু হয়েছে।
কোনওমতে চালু করা হয়েছে বিমানবন্দরও। কিন্তু তাতেও দুর্দশার ছবিটা খুব বেসি বদলায়নি। ঝড়ে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত টাকলোব্যান শহর। এক সময়ের ঝলমলে বন্দর শহর বদলে গিয়েছে মৃত্যু উপত্যকায়। জলের মধ্যে ভাসছে পচাগলা মৃতদেহ। খাবারের সন্ধানে, আশ্রয়ের সন্ধানে পাগলের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছেন বহু মানুষ। টাকলোব্যানের অদূরেই রয়েছে সামার প্রভিন্স। সেখানে সমুদ্র তীরবর্তী বেসি শহরে আছড়ে পড়েছিল হাইয়ান। তারপর থেকে শুধু বেসিতেই নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় দুহাজার। বিপর্যয়ের পর থেকে টাকলোব্যানের বহু হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুত আসেনি। ফলে অন্ধকারের মধ্যেই দিন কাটাচ্ছেন রোগীরা। ঝড়ে প্রবল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হাসপাতালও। তার মধ্যেই চলছে সেবা শুশ্রূষা।