Phased Array Tracking Radar for Intercept on Target: জেলেনস্কির হাতে ব্রহ্মাস্ত্র! রুশ আক্রমণ নিয়ে এবার স্রেফ ছেলেখেলা করতে পারবে ইউক্রেন...
Phased Array Tracking Radar for intercept on Target: 'ফেজড অ্যারে ট্র্যাকিং রাডার ফর ইন্টারসেপ্ট অন টার্গেট'। অচিরেই ইউক্রেনের অস্ত্রভান্ডারে যোগ হচ্ছে এই প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র। গত ডিসেম্বরেই ইউক্রেনকে এই অস্ত্রসাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনও লক্ষণই নেই। মাঝে একবার ভ্লাদিমির পুতিনের হালচাল দেখে মনে হচ্ছিল যেন, হয়তো থামতে চলেছে এ লড়াই। কিন্তু কোথায় কী? উল্টে, সকলেই অস্ত্রশস্ত্র বাগিয়ে নতুন করে ঘর গোছাতে ব্যস্ত। যেমন, রুশদের ক্ষেপণাস্ত্রহানা ঠেকাতে এ বার নতুন অস্ত্রের ব্যবস্থা করতে চলেছে ইউক্রেনও। শত্রুপক্ষের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই হোক বা ড্রোন-আক্রমণ— সবই এবার ভোঁতা করে দিতে পারবে তাদের নতুন এই অস্ত্র। যাকে একহিসেবে ব্রহ্মাস্ত্রই বলা চলে হয়তো। নাম তার অস্ত্রভান্ডার। প্যাট্রিয়ট। এটা সংক্ষেপিত। পুরো নাম-- 'ফেজড অ্যারে ট্র্যাকিং রাডার ফর ইন্টারসেপ্ট অন টার্গেট'। অচিরেই ইউক্রেনের অস্ত্রভান্ডারে যোগ হচ্ছে এই প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র। গত ডিসেম্বরেই ইউক্রেনকে এই অস্ত্রসাহায্যের কথা ঘোষণা করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
আরও পড়ুন: Ali Zafar's Song Jhoom: প্রশ্ন বিজ্ঞানী নিউটনকে নিয়ে, উত্তরে এ শুধু গানের দিন এ লগন...
কিন্তু কী এই ফেজড অ্যারে ট্র্যাকিং রাডার ফর ইন্টারসেপ্ট অন টার্গেট? কতটা ক্ষমতাধর অস্ত্র?
ইউক্রেন সরকার আগেই জানিয়েছিল, আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মাধ্যমে করা রুশ আক্রমণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এ ধরনের অস্ত্রের প্রয়োজন। এবার এসে গেল এই ‘প্যাট্রিয়ট’। ‘ফেজড অ্যারে ট্র্যাকিং রাডার ফর ইন্টারসেপ্ট অন টার্গেট’। সিস্টেমটির মূল লক্ষ্য স্থলভাগ থেকে আকাশপথে ক্ষেপণাস্ত্রহানা ঠেকানো। রেথিয়ন টেকনোলজিস কর্পোরেশনের তৈরি প্যাট্রিয়ট সিস্টেমকে আমেরিকার অস্ত্রভান্ডারের অত্যাধুনিক অস্ত্রের অন্যতম ধরা হয়। প্যাট্রিয়টে রয়েছে একটি শক্তিশালী রাডার, কন্ট্রোল স্টেশন, পাওয়ার জেনারেটর, ক্ষেপণাস্ত্র আটকানোর লঞ্চ স্টেশন-সহ আরও অনেক কিছু। প্যাট্রিয়টের রাডারের পরিসীমা ১৫০ কিলোমিটারেরও বেশি।
আরও পড়ুন: C/2022 E3 (ZTF): সাবধান! ৫০ হাজার বছর পর পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে ভয়ংকর এক ধূমকেতু...
২০২২ সালের ডিসেম্বরে আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তাঁর সফরের আগে ২১ ডিসেম্বর ওয়াশিংটন ঘোষণা করেছিল, জেলেনস্কির বাহিনীকে ১৮৫ কোটি ডলারের সামরিক সাহায্য দেওয়া হবে। তার মধ্যেই ছিল এই প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র বা প্যাট্রিয়ট এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। প্রযুক্তিটি জার্মানির। তাদের কাছ থেকেই অস্ত্রটি নিচ্ছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের হাতে প্যাট্রিয়ট তুলে দিতে একটু দ্বিধায় ছিল জার্মানি। জো বাইডেনের সঙ্গে ওলাফ স্কোলজের বৈঠকের পর ইউক্রেনকে অস্ত্রসাহায্যের বিষয়ে একমত হয় তারা। এবং পরে একটি যৌথ বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান দুই রাষ্ট্রনেতা। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে-- ডিসেম্বরের শেষ দিকে ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট দেওয়ার কথা জানিয়েছিল আমেরিকা। আর ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট দেবে জার্মানি।
আমেরিকা-সহ বিশ্বের ১৮টি দেশের জন্য ২৪০টিরও বেশি প্যাট্রিয়ট সিস্টেম তৈরি করেছে রেথিয়ন। জানা গিয়েছে, ২০১৫ সাল থেকে যুদ্ধক্ষেত্রে ১৫০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রর আক্রমণ প্রতিহত করতে পেরেছে এই প্যাট্রিয়ট।
রুশদের আক্রমণ ঠেকাতে কি সত্যিই কার্যকরী হবে প্যাট্রিয়ট? সময়ই তা বলবে, আপাতত বলা যায়, রাশিয়ার পক্ষে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধটা নিশ্চয়ই আরও কঠিন হয়ে গেল।