Pakistan: পাকিস্তান পার্লামেন্ট কি ভেঙে দিতে আবেদন করবেন শাহবাজ শেরিফ?
Pakistan Prime Minister Shehbaz Sharif: গন্ডগোলের মধ্যেই রয়েছে পাকিস্তান। ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা পাকিস্তান জুড়ে অশান্তি, অস্থিরতা জারি। এদিকে অন্য এক সংকটের মুখোমুখি হতে চলেছে ওয়াঘার ওপারের এই দেশ। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন করতে চলেছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: এক গন্ডগোলের মধ্যেই রয়েছে পাকিস্তান। ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোটা পাকিস্তান জুড়ে অশান্তি, অস্থিরতা জারি। এদিকে অন্য এক সংকটের মুখোমুখি হতে চলেছে ওয়াঘার ওপারের এই দেশ। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ (ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি) ভেঙে দেওয়া হবে। এ জন্য আজ, বুধবার প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভির কাছে আনুষ্ঠানিক আবেদন করবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। অন্তত তেমনই শোনা যাচ্ছে। গতকাল, মঙ্গলবার পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ নিজেই এ কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: Germany: হঠাৎই মিলল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বোমা! দ্রুত সরানো হল ১৩ হাজার বাসিন্দাকে...
গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এক অনুষ্ঠানে শাহবাজ শরিফ বলেন-- আগামীকাল (৯ অগস্ট) আমাদের সরকারের মেয়াদ শেষ হবে। আমি প্রেসিডেন্টের কাছে জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়ার আবেদন করব। এরপর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেবে। যদিও এর আগে শাহবাজ শরিফ জানিয়েছিলেন, নির্ধারিত সময়ের তিন দিন আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হবে। এরপর সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা মেনে পরবর্তী ৯০ দিনের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের বিরোধী দলের নেতা রাজা রিয়াজ বলেছিলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান কে হবেন, তা নিয়ে এখনও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি। তবে তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ৯ অগস্ট এ-সংক্রান্ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হবে।
পাকিস্তানের সংবিধান অনুসারে মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই জাতীয় পরিষদ ভেঙে দেওয়া হলে ৯০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হয়। আর জাতীয় পরিষদ তার পুরো মেয়াদ পূর্ণ করলে ৬০ দিনের মধ্যে সাধারণ নির্বাচন করতে হয়।
গত বছরের এপ্রিলে পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে বিরোধীদের আনা আস্থা ভোটে হেরে ইমরানের সরকার ক্ষমতা হারায়। তখন শাহবাজ শরিফের নেতৃত্বে বিরোধীরা জোট সরকার গঠন করে। তার পর থেকেই নানা আইনি লড়াই সামলাতে হচ্ছিল ইমরানকে। সম্প্রতি গ্রেফতার হন ইমরান। ইমরান খানের ভোটে দাঁড়ানোর উপর পাঁচ বছরের নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। রাষ্ট্রীয় উপহার কেনাবেচায় দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া সংক্রান্ত মামলায় দোষী সাব্যস্ত ইমরানের তিন বছরের জেলও হয়। হয় জরিমানাও।