আহত কাশ্মীরীদের চিকিত্সার দায়িত্ব নিতে চায় পাকিস্তান

কাশ্মীরে চলতে থাকা সংঘর্ষের জেরে উপত্যকার আহত সাধারণ কাশ্মীরীদের চিকিত্সার দায়িত্ব নিতে চাইল পাকিস্তান। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডনের (অন-লাইন সংস্করণ) খবর অনুসারে, শনিবার এবিষয়ে নওয়াজ শরিফ আন্তর্জাতীক মহলের সাহায্য চেয়েছেন ভারতের অনুমতি পাওয়ার জন্য।

Updated By: Aug 7, 2016, 04:16 PM IST
আহত কাশ্মীরীদের চিকিত্সার দায়িত্ব নিতে চায় পাকিস্তান

ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরে চলতে থাকা সংঘর্ষের জেরে উপত্যকার আহত সাধারণ কাশ্মীরীদের চিকিত্সার দায়িত্ব নিতে চাইল পাকিস্তান। পাকিস্তানি সংবাদ মাধ্যম ডনের (অন-লাইন সংস্করণ) খবর অনুসারে, শনিবার এবিষয়ে নওয়াজ শরিফ আন্তর্জাতীক মহলের সাহায্য চেয়েছেন ভারতের অনুমতি পাওয়ার জন্য।

প্রসঙ্গত, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে হিজবুল সদস্য বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকেই উত্তাল উপত্যকা। ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী সেখানে তারপর থেকেই 'শান্তি পুনরুদ্ধার'-এর জন্য মোতায়েন রয়েছে। ওই উত্তপ্ত আবহে ইতিমধ্যেই কমপক্ষে ৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং অসংখ্য মানুষ 'গুরুতর আহত' হয়েছে। এইসব আহতদের এবং মূলত যারা ছররা আক্রান্ত তাঁদের নিজের দায়িত্বে (পাকিস্তান রাষ্ট্রের দায়িত্বে) রেখে চিকিত্সা করাতে চেয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন শরিফ। শরিফ জানিয়েছেন যে এই সব আক্রান্তদের বিশ্ব মানের চিকিত্সার ব্যবস্থা করবে পাকিস্তান।

আরও পড়ুন- কাশ্মীরে ছররা ব্যবহারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অভিনব প্রতিবাদ

উল্লেখ্য, পাকিস্তানের ইসলামাবাদে সার্কের সম্মেলনে কাশ্মীরের 'বিচ্ছিন্নতাবাদী আক্রমণ'কে 'স্বাধীনতার লড়াই' বলাকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের একদিন পরেই শরিফের এই 'ইচ্ছা' সামনে এসেছে। সার্কের ওই বৈঠকে 'কড়া বার্তা' শুনিয়ে দিয়েছেন ভরতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ এবং তিনি মধ্যাহ্ন ভোজনে অংশ না নিয়েই বৈঠকের মাঝপথে দেশে ফিরে আসেন।

আরও পড়ুন- হিজবুল 'পোস্টার বয়' বুরহান হত্যায় অশান্ত কাশ্মীর, মৃত ১১, আহত ১২০ জন

এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে নাওয়াজ শরিফের কাশ্মীরের 'আক্রান্ত'দের জন্য এই 'মানবিক' ইচ্ছাকে কূটনৈতিক চাল হিসাবেই দেখছে ভারতীয় কূটনৈতিক মহল। এর পাশাপাশি, আহতদের চিকিত্সার জন্য ভারতের অনুমতি পাওয়ার নামে আন্তর্জাতীক মঞ্চকে অনুরোধ করার মধ্যে দিয়েও যে শরিফ আসলে বিশ্বের দরবারে ভারতের 'অমানবিক মুখ' তুলে ধরতে চায় তাও পরিষ্কার ভারতের কাছে। এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ভারত সরকারের তরফ থেকে কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

.