শরিফ সরকারের ইস্তফার দাবিতে তেহরিকের আন্দোলনে অচল ইসলামাবাদ

যতক্ষণ না ইস্তফা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, ততক্ষণ চলবে আন্দোলন। এই হুমকিকে হাতিয়ার করেই পথে নেমেছে পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ আর পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক। আন্দোলনের জোড়া ফলায় কার্যত অচল হয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ।

Updated By: Aug 17, 2014, 09:54 AM IST
শরিফ সরকারের ইস্তফার দাবিতে তেহরিকের আন্দোলনে অচল ইসলামাবাদ

ওয়েব ডেস্ক: যতক্ষণ না ইস্তফা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী, ততক্ষণ চলবে আন্দোলন। এই হুমকিকে হাতিয়ার করেই পথে নেমেছে পাকিস্তান তেহরিক-এ-ইনসাফ আর পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক। আন্দোলনের জোড়া ফলায় কার্যত অচল হয়ে গিয়েছে ইসলামাবাদ। এদিকে, পনেরো মাসের সরকারের অস্বস্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে লাহোরের একটি আদালত। গত জুনে একটি হিংসার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে খুনের চার্জগঠনের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

সরকারের বয়স মাত্র পনেরো মাস। কিন্তু, এখনই বিক্ষোভের আগুনে পুড়তে শুরু করে দিয়েছে নওয়াজ শরিফ সরকার। পাকিস্তানের দুই বিরোধী দলের দাবি একটাই। গদি থেকে সরতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। সরতে হবে পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকেও। আর এই দাবিকে সামনে রেখেই লাহোর থেকে ইসলামাবাদ পর্যন্ত মহামিছিল আজাদি মার্চ শুরু করেন ইমরান খান ও পাকিস্তান আওয়ামি তেহরিক নেতা তাহিরুল কাদরি। দুজনের বক্তব্যেই উঠে আসে একই অভিযোগ। ব্যাপক কারচুপি করে ক্ষমতায় এসেছেন নওয়াজ শরিফ।

ইসলামাবাদের দুজায়গায় আলাদা আলাদা করে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন দুই নেতা। দুই জমায়েতে প্রায় পঁচিশ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিলেন। ইসলামাবাদের পথে ইমরান খানের মিছিল ঘিরে শুক্রবারই রণক্ষেত্রের চেহার নেয়।  শাসক ও বিরোধীদের সংঘর্ষে জ্বলে ওঠে গুজরানওয়ালা শহর।  সেখানে ইমরান খানের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। এদিকে, এই বিক্ষোভের মধ্যেই আরও এক অস্বস্তি এসে হাজির হয় শরিফ সরকারের দরজায়। গত জুনে এক হিংসার ঘটনায় পাক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধেই খুনের চার্জ গঠনের নির্দেশ দিয়েছে লাহোরের এক আদালত। সেই তালিকায় রয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর ভাই পঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ সহ আরও উনিশজন।

.