কাশ্মীর নিয়ে দ্রুত আলোচনায় বসার আর্জি জানিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘে চিঠি পাকিস্তানের
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়ে তিনি জানান, ভারত যদি শক্তিপ্রদর্শনে হাঁটে, তাহলে পাকিস্তানও একই পথে হাঁটতে বাধ্য হবে
নিজস্ব প্রতিবেদন: গত এক সপ্তাহে বাস্তব পরিস্থিতিটা বুঝতে পেরেছে পাকিস্তান। বাধ্য হয়েই নিজের দেশের নাগরিকদের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির মন্তব্য, কেউ তাঁদের জন্য মালা নিয়ে দাঁড়িয়ে নেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যদের মন পেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হবে বলে সতর্কও করেন তিনি। তবে, চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না। রাষ্ট্রসঙ্ঘকে চিঠি দিয়ে এবার কাশ্মীর সমস্যার দ্রুত সমাধান করার আবেদন জানালেন মেহমুদ কুরেশি।
মঙ্গলবার রাষ্ট্রসঙ্ঘের নিরাপত্তা পরিষদে চিঠি দিয়ে তিনি জানান, ভারত যদি শক্তিপ্রদর্শনে হাঁটে, তাহলে পাকিস্তানও একই পথে হাঁটতে বাধ্য হবে। সাধ্যমতো তাঁরা সেই চেষ্টা চালাবে বলে হুঁশিয়ারি দেয় ইসালমাবাদ। পাশাপাশি এ-ও সতর্ক করে, সংযত আচরণকে দুর্বলতা যেন না ভাবে ভারত। এতে বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। ইসলামাবাদের অভিযোগ, ভারত বেআইনিভাবে কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কাশ্মীর নিয়ে রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবনা মানা হয়নি।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে নিজের দেশের লেবার পার্টিকে 'হিন্দুবিরোধী' বলে তুলোধনা ব্রিটেনের শাসকদলের
উল্লেখ্য, পোলান্ডের কাছেও কাশ্মীরের বিষয় তুলে ধরে পাকিস্তান। অগস্টে নিরাপত্তা পরিষদের প্রেসিডেন্ট পোলান্ড। সে দেশের বিদেশমন্ত্রী জ্যাসেক ক্যাপুটোয়িজ পাক চিঠির স্বীকারপ্রাপ্তি করে জানায় এ বিষয়ে আলোচনা হবে এবং সঠিক পথে গিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। চিনের কাছে গিয়েও জোরালো সাড়া পায়নি পাকিস্তান। বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ভারত ও পাকিস্তান তাদের বন্ধু রাষ্ট্র। রাষ্ট্রসঙ্ঘের প্রস্তাবনা এবং সিমলা চুক্তি মেনে সমস্যার সমাধানে বার্তা দেয় বেজিং।
উল্লেখ্য, গত ৬ অগস্ট জম্মু-কাশ্মীরে অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ এবং লাদাখকে আলাদা করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণায় রীতিমতো অবাক হয় পাকিস্তান। তীব্র সমালোচনার পথে হাঁটে তাঁরা। ক্রমাগত উস্কানিমূলক মন্তব্য করে কাশ্মীর পরিস্থিতিকে জটিল করার চেষ্টা চালায়। যদিও গত একসপ্তাহে ইমরান খানের প্রচেষ্টায় কোনও ছাপ পড়েনি জম্মু-কাশ্মীরে। উলটে কাশ্মীর অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে যে ভারতের দাবি এককথায় মেনে নেয় আমেরিকা, ব্রিটেন-সহ একাধিক দেশ।