মৃত পশুদের দেহ জ্বালিয়ে উত্পাদন হচ্ছে তেল, তৈরি হচ্ছে সাবান!
কারখানার ভিতর পোড়ানো হচ্ছে মৃত পশুর দেহাবশেষ। তা থেকে উত্পাদন হচ্ছে তেল।
নিজস্ব প্রতিবেদন : দিনকয়েক ধরেই এলাকায় দুর্গন্ধের জেরে স্থানীয় লোকজন টিকতে পারছেন না। রাতের দিকে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যাচ্ছে এলাকা। ধোঁয়া ও দুর্গন্ধের উত্স এলাকারই একটি কারখানা। কিন্তু সেই কারখানার ভিতরে ঠিক কি হচ্ছে, জানতে পারছেন না কেউ! স্থানীয় লোকজন এর পরই পুলিসের দ্বারস্থ হন। পুলিস এসে যা দেখে তাতে স্থানীয় লোকজন তাজ্জব হয়ে যান। কারখানার ভিতর পোড়ানো হচ্ছে মৃত পশুর দেহাবশেষ। তা থেকে উত্পাদন হচ্ছে তেল। আর ছাই থেকে তৈরি করা হচ্ছে গায়ে মাখার সাবান। এর পরই সেই কারখানা সিল করে দেয় পুলিস। শুরু হয় ধরপাকড়।
আরও পড়ুন- সুদানের কারখানায় ট্যাঙ্কার বিস্ফোরণে ১৮ জন ভারতীয়-সহ মৃত ২৩, আহত অন্তত ১৩০
পাকিস্তানের রাজধানী করাচির ঘটনা। অবৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে এক কারখানায় মৃত পশুর দেহ পুড়িয়ে তা থেকে উত্পাদিত হত তেল। পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ও পরিবেশ রক্ষা বিভাগের তত্ত্বাবধানে সেই কারখানায় হানা দেয় পুলিসের একটি দল। তার পরই এমন ঘটনা সামনে আসে। পশু দেহ পুড়িয়ে ভোজ্য তেল উত্পাদন করা হত সেই কারখানায়। যার জেরে এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ত। গোটা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ত বিষাক্ত কালো ধোঁয়া। স্থানীয় বাজারেই বিক্রি করা হত সেই কারখানায় উত্পাদিত তেল। ছাই সরবরাহ করা হত স্থানীয় সাবান তৈরির কারখানায়।
তদন্তের পর করাচি পুলিস জানতে পেরেছে, গোটা এলাকায় এই ধরণের কাজ করা হয় একাধিক কারখানায়। সেই সব কারখানা খুঁজে বের করতে এবার উঠেপড়ে লেগেছে পুলিস। করাচির পরিবেশ রক্ষা বিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে চারপাশে। অবৈজ্ঞানিকভাবে তেল উত্পাদন করে তাতে সুগন্ধী মিশিয়ে বাজারে ছাড়া হচ্ছে। এই ধরণের ভোজ্য তেল প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটাতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।