নতুন গ্রহের সন্ধান
পৃথিবীর আয়ু কমে আসছে। সময় থাকতেই অন্যত্র আস্তানা খোঁজার লক্ষ্যে অনেক দিন ধরেই গবেষণা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর মতই আর একটি গ্রহের সন্ধান মিলেছে। তবে তার ঠিকানা আমাদের সৌরজগতের বাইরে, ছশো আলোকবর্ষ দূরে।
পৃথিবীর মত অন্য একটি গ্রহের সন্ধান পেলেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা। কেপলার ২২-বি নামে ওই গ্রহটির অস্তিত্বের কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে নাসা। জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের ধারণা, ছশো আলোকবর্ষ দূরে কেপলার ২২-বি নামের গ্রহটির পরিবেশ অনেকটা পৃথিবীর মতোই।
পৃথিবীর আয়ু কমে আসছে। সময় থাকতে অন্যত্র আস্তানা খোঁজার লক্ষ্যে অনেক দিন ধরেই গবেষণা করছিলেন বিজ্ঞানীরা। শেষ পর্যন্ত পৃথিবীর মতোই আরেকটি গ্রহের সন্ধান মিলল। তবে তার ঠিকানা আমাদের সৌরজগতের বাইরে, ছশো আলোকবর্ষ দূরে। কেপলার ২২-বি সূর্যের মতই একটি নক্ষত্রকে ঘিরে কক্ষপথে আর্বতিত হচ্ছে। আবর্তনে সময় লাগছে ২৯০ দিন। ওই গ্রহে তরল জল থাকার সম্ভাবনাও খুব বেশি বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। আয়তনে গ্রহটি পৃথিবীর ২.৪ গুণ বড়। নতুন গ্রহটির ছবি নাসার কেপলার স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে।
আমাদের সৌরজগতে পৃথিবীর অবস্থান সূর্য থেকে যে দূরত্বে কেপলার ২২-বি গ্রহটি তার সূর্য থেকে মাত্র ১৫ শতাংশ কম দূরত্বে অবস্থান করছে। নতুন গ্রহের গড় তাপমাত্রা ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা পৃথিবীর নাতিশীতোষ্ণ মণ্ডলের বসন্তকালের তাপমাত্রার মতোই। ফলে বিজ্ঞানীদের আশা, এই গ্রহে প্রাণধারণের মতো তাপমাত্রা এবং জলের অস্তিত্ব থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই প্রবল। তবে কেপলার ২২-বি গ্রহটি পৃথিবীর মতো কঠিন না নেপচুনের মত গ্যাসীয় এখনও জানা না গেলেও এ বিষয়ে গবেষণা এখনও অব্যাহত।
গত ৩ বছর ধরে কেপলার স্পেস টেলিস্কোপ মহাকাশের দিকে লক্ষ রেখেছিল। টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে প্রায় ১ লক্ষ ৫৫ হাজার নক্ষত্র। তার মধ্যে পৃথিবীর মতো আয়তনের গ্রহ রয়েছে ২০৭টি। যার মধ্যে ১০টি গ্রহের সঙ্গে পৃথিবীর সাদৃশ্য অত্যন্ত বেশি। সেই ১০টি গ্রহের মধ্যে থেকে বেছে নেওয়া হয়েছে কেপলার ২২-বি গ্রহটিকে। কারণ, তার পরিবেশ নাকি অনেকটাই পৃথিবীর মতো। তাই সেখানে তরলের সন্ধান পাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে মনে করছেন জ্যোর্তিবিজ্ঞানীরা।