পৃথিবীর দোসর খুঁজে পেল নাসার টেলিস্কোপ

পৃথিবীর দোসর খুঁজে পেলেন নাসার বৈজ্ঞানিকরা। আমাদেরই ছায়াপথ আকাশগঙ্গার বুকে খোঁজ মিলল পাথুরে গ্রহ কেপলার 186f-এর। এই গ্রহের আকার আয়তন অনেকটাই পৃথিবীর মত। কেপলার 186f মধ্যে জল থাকার সমস্ত রকম সম্ভাবনাই রয়েছে। ফলে রয়ে যাচ্ছে প্রাণের উপস্থিতিরও সমূহ সম্ভাবনা।

Updated By: Apr 18, 2014, 12:15 PM IST

পৃথিবীর দোসর খুঁজে পেলেন নাসার বৈজ্ঞানিকরা। আমাদেরই ছায়াপথ আকাশগঙ্গার বুকে খোঁজ মিলল পাথুরে গ্রহ কেপলার 186f-এর। এই গ্রহের আকার আয়তন অনেকটাই পৃথিবীর মত। কেপলার 186f মধ্যে জল থাকার সমস্ত রকম সম্ভাবনাই রয়েছে। ফলে রয়ে যাচ্ছে প্রাণের উপস্থিতিরও সমূহ সম্ভাবনা।

পৃথিবীর থেকে ৫০০ আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত এই গ্রহ সিগনাস নক্ষত্রমণ্ডলের মধ্যে। সূর্যের অর্ধেক আয়তনের নক্ষত্র কেপলার 186 এর চতুর্দিকে আবর্তন করে কেপলার 186f। কেপলার 186-এর পাঁচটি গ্রহের মধ্যে সবথেকে দূরে অবস্থিত কেপলার 186f। প্রতি ১৩০ দিনে এই গ্রহটি কেপলার 186কে একবার প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী যে আলোকশক্তি সূর্যের থেকে পায় তার ১/৩ অংশের আলো পৃথিবীর এই নয়া দোসর পায় কেপলার 186-এর কাছ থেকে। এই আলোকশক্তি প্রাণের সঞ্চার ঘটানোর পক্ষে যথেষ্ট।

নাসার টেলিস্কোপ কেপলারের চোখে ধরা পড়েছে এই গ্রহ। ২০০৯ সাল থেকে এই নিয়ে ১০০০ নতুন গ্রহের সন্ধান দিল এই টেলিস্কোপটি।

নাসার বৈজ্ঞানিকরা দাবি করেছেন এই গ্রহটি ``গোল্ডিলকস জোন``-এ আছে। অর্থাৎ তারার থেকে যে দূরত্বে থাকলে জল থাকার সম্ভাবনা থাকে সেই যথাযথ দূরত্বে অবস্থান করছে গ্রহটি। তবে বৈজ্ঞানিকরা এও বলেছেন যে এর মানে গ্রহটিতে যে প্রাণ আছেই, সে কথা এখনই জোর দিয়ে বলা সম্ভব নয়।

গ্রহটি পৃথিবী থেকে এতটাই দূরে অবস্থান করছে যে এর বায়ুমণ্ডল প্রাণের পক্ষে উপযুক্ত কিনা তা বোঝা অত্যন্ত কষ্টকর।

.