নেপাল পার্লামেন্টে রণক্ষেত্র, জখম মার্শাল সহ অনেকে
নতুন সংবিধান তৈরি নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল নেপাল পার্লামেন্ট। ফের থমকে গেল নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরির প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার মৌখিক বাগবিতণ্ডায় থেমে থাকেনি সাংসদদের ঝগড়া। ভাঙচুর, হাতাহাতির জেরে পার্লামেন্টের মধ্যেই আহত হন বারো জন। সংবিধান বিতর্কের জেরে পার্লামেন্টের বাইরেও অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
ওয়েব ডেস্ক: নতুন সংবিধান তৈরি নিয়ে রণক্ষেত্র হয়ে উঠল নেপাল পার্লামেন্ট। ফের থমকে গেল নতুন সংবিধানের খসড়া তৈরির প্রক্রিয়া। মঙ্গলবার মৌখিক বাগবিতণ্ডায় থেমে থাকেনি সাংসদদের ঝগড়া। ভাঙচুর, হাতাহাতির জেরে পার্লামেন্টের মধ্যেই আহত হন বারো জন। সংবিধান বিতর্কের জেরে পার্লামেন্টের বাইরেও অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
বৃহস্পতিবার নেপালের নতুন খসড়া সংবিধান তৈরির সময়সীমা শেষ হবে। মঙ্গলবার সেই খসড়া নিয়েই আলোচনা চলছিল নেপালী পার্লামেন্টে। হঠাত্ই পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে তোলে একটি কমিটি গঠনের প্রস্তাব। পার্লামেন্টের চেয়ারম্যান সেই প্রস্তাবে সায় দিতেই মারমুখী হয়ে ওঠেন মাওবাদী সহ বিরোধী সাংসদরা। ঐক্যমত ছাড়াই শাসকপক্ষ নিজেদের প্রস্তাব পাশ করিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন মাওবাদীরা।
পার্লামেন্টে গণ্ডোগোলের জেরে মার্শাল সহ জখম হন বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী। সংবিধান তৈরি নিয়ে পার্লামেন্টের অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ে রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে। নেপালে জুড়ে বন্ধের ডাক দেয় মাওবাদীরা। শুরু হয় বিক্ষোভ-অবরোধ।
২০০৮ সালে নেপালে গণতান্ত্রিক পথে সরকার গঠনের পর থেকেই চেষ্টা চলছে নতুন খসড়া সংবিধান রচনার। কিন্তু সেক্ষেত্রে বার বার বাধা হয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির মতপার্থক্য। ঐক্যমতের সেই অভাবই নেপালের নতুন সংবিধান তৈরির প্রক্রিয়ায় আরও একবার বাধা হয়ে দাঁড়াল।