ইমরান আর তালিবান, জোড়া ফলায় 'বিদ্ধ' পাকিস্তান
একে ইমরান খান, তার সঙ্গে আবার তালিবান, আর এই জোড়া ফলাতেই 'শঙ্কিত' শরিফের পাকিস্তান। আগামী ২রা নভেম্বর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিয়ে আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন বর্তমানে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরান খান। আর প্রাক্তন এই ক্রিকেট কিংবদন্তীর পাশে এসে দাড়িয়েছে পাক তালিবানিদের 'গড ফাদার' মৌলানা সামি উল হক।
ওয়েব ডেস্ক: একে ইমরান খান, তার সঙ্গে আবার তালিবান, আর এই জোড়া ফলাতেই 'শঙ্কিত' শরিফের পাকিস্তান। আগামী ২রা নভেম্বর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ধরে তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করার ডাক দিয়ে আন্দোলন শুরু করতে চলেছেন বর্তমানে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ (পিটিআই)-এর চেয়ারম্যান ইমরান খান। আর প্রাক্তন এই ক্রিকেট কিংবদন্তীর পাশে এসে দাড়িয়েছে পাক তালিবানিদের 'গড ফাদার' মৌলানা সামি উল হক।
নওয়াজের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নিতীর অভিযোগ আনলেও ইমরানের মূল ইস্যু পানামা কেলেঙ্কারি। নওয়াজ শরিফ ও তাঁর পরিবারের একাধিক ব্যক্তির নামে ও বেনামে বিদেশে গচ্ছিত টাকা রয়েছে বলে জানিয়ে 'মোজেক ফনসেকো' নামক সংস্থাটি। এই ইস্যুতে ইমরানের নেতৃত্বে নাওয়াজ বিরোধী আবহ তৈরি হলে পাক প্রধানমন্ত্রীকে বেশ কয়েকবার পার্লামেন্টে জবাবদিহি করতে হয় পানামা ইস্যুতে। সেই জবাবে শরিফ তাঁর ও তাঁর পরিবারের বিদেশি অ্যাকাউন্টের কথা অশ্বীকার করলেও বিতর্ক যে সেই তিমিরেই রয়েছে তা পরিস্কার হয়ে যায় ইমরানের সাম্প্রতিক এই ঘোষণা ও আন্দোলনসূচী থেকেই।
আরও পড়ুন- উরি হামলার দায় স্বীকার করল লস্কর-ই-তৈবা
ইমরান খান ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে পাকিস্তানের কুর্সি থেকে 'দুর্নিতীগ্রস্থ' নওয়াজকে না সরানো পর্যন্ত তাঁর দলের লাগাতার আন্দোলন চলতেই থাকবে। তবে, শুধু ইমরান খানের দল হলে পাকিস্তান প্রশাসন এতটা চাপে পড়ত না। চাপের প্রধান কারণ, একটি বড় অবরোধ কর্মসূচীতে সামিল হয়ে ইমরানের এই আন্দোলনের প্রতি সমর্থন ঘোষণা করেছেন বেশ কিছু জঙ্গি গোষ্ঠীর নেতা। পাক সরকারের তরফে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দেওয়ার দায়িত্ব বর্তেছে পাক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিসার আলি খানের উপর।
কিন্তু, তালিবান এবং অন্যান্য পাক জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি কেন ইমরানকে সমর্থনকরছে?
শোনা যাচ্ছে, পাকিস্তানের বেশ কিছু জঙ্গি সংগঠনের ইচ্ছা ছিল সার্জিক্যাল অ্যাটাকে 'শহীদ' হয়েছেন এমন জনা পঞ্চাশ জঙ্গির দেহ নিয়ে মিছিল করতে। এই মিছিলে অংশ নিতে পাক সরকারকেও ওই জঙ্গিগোষ্ঠীগুলি আবেদন জানায়। কিন্তু, এই ধরনের মিছিল আয়োজিত হলে যে আন্তর্জাতীক মহলে পাকিস্তান সরকারেরই মুখ পুড়বে সেবিষয়ে নিশ্চিত ছিল নওয়াজ সরকার। তাই সরকার অংশ নেওয়া তো দুরের কথা, ওই মিছিলের অনুমতিই দেয়নি। ফলে, জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো যার পর নাই চটে যায়। আর সেই রাগ থেকেই যে তারা ইমরানকে সমর্থন করছে সে বিষয়ে একপ্রকার নিঃশংসয় ওয়াকিবহাল মহল।
আরও পড়ুন- ISIS-এর হাতে খুন পাক গোয়েন্দা
এদিকে, তালিবান সমর্থিত ইমরানের আন্দোলনে উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে কার্যত নাজেহাল নওয়াজ প্রশাসন। তাদের অবস্থা যেন, একা ইমরানে রক্ষা নেই, তায় তালিবান দোসর।