Artemis Moon Mission: চাঁদে পৌঁছনোর নতুন মিশন! স্বপ্ন দেখাচ্ছেন মাইক সারাফিন
আসলে এই আর্টেমিস মিশন থেকে যে তথ্য় অনুসন্ধান করতে পারবে নাসা, তা সে মঙ্গল মিশনে ব্যবহার করবে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নাসার মুন মিশনের প্রথম পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ আজ সোমবার, ২৯ অগস্ট। গ্রিক পুরাণে আর্টেমিসের কাহিনি আছে। আর্টেমিস অ্যাপোলোর যমজ বোন। আর তিনি চাঁদের সঙ্গে সম্পর্কিত এক দেবী। ফলে এই মিশনের নাম আর্টেমিস হওয়ার যথেষ্ট কারণও আছে। নাসা আগামি দিনে মঙ্গলে যে মিশন সফল করতে চায়, এ এক হিসেবে তারই একটা মহড়া। চাঁদে মানুষকে পাঠানোই শুধু নয়, সেখান থকে তাঁদের ফিরিয়ে আনার মতো একটা প্রকল্পের পরিকল্পনাই করেছে আর্টেমিস। আজ, ২৯ অগস্ট 'আনম্যানড' একটি রকেট আকাশে উড়বে। উৎক্ষিপ্ত হবে সে চাঁদের দিকে যাওয়ার জন্য। আর এ হেন একটি মহা পরিকল্পনার পিছনে যে মানুষটি রয়েছেন তিনি হলেন মাইক সারাফিন। আর্টেমিস মিশন ম্যানেজার। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
আরও পড়ুন: Asteroid: উড়োজাহাজের মতো আকার এমন এক গ্রহাণু ছুটে আসছে পৃথিবীর দিকে...
আর্টেমিস ১
আর্টেমিস ১ মিশনে আজ ওরিয়ন ক্রিউ ক্যাপসুল এবং ৩২২ ফুট স্পেস লঞ্চ সিস্টেম রকেটকে টেস্ট করা হবে। এটি পরীক্ষামূলক, ফলত এখন 'আনম্যানড'। প্রশান্ত মহাসাগরে ল্যান্ড করার আগে ওরিয়ন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে। এর পরে আছে আর্টেমিস ২। এর টার্গেট ২০২৪ সাল। অ্যাপোলো ৮ যেভাবে তার মিশন পূর্ণ করেছিল, এটাও তেমনই করবে। তবে এই মিশনেও মানুষ থাকবে না। তবে আর্টেমিস ৩ মিশনে প্রথম মানুষ থাকবে। চাঁদের দক্ষিণে যেখানে জল বরফের আকারে জমে রয়েছে সেখানেই নাসার চন্দ্রযান প্রথম ল্যান্ড করবে বলে ঠিক হয়ে আছে। আর্টেমিস ৩-এর সম্ভাব্য সময়কাল ধরা হয়েছে ২০২৫ সাল।
মার্স মিশন
কিন্তু আর্টেমিসের কাজ এখানেই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। মানুষ এবার মঙ্গলে যাবে। যেটাকে বলা হচ্ছে-- 'দ্য নেক্সট জায়ান্ট লিপ-- হিউম্যান এক্সপ্লোরেশন অফ মার্স'। এটাই কিন্তু আর্টেমিসের চূড়ান্ত লক্ষ্য। আসলে এই আর্টেমিস মিশন থেকে যে তথ্য় অনুসন্ধান করতে পারবে নাসা, তা সে মঙ্গল মিশনে ব্যবহার করবে। কেন চাঁদ বা মঙ্গল নিয়ে এই উঠে পড়া? আসলে নাসা দেখে নিতে চাইছে, গভীর মহাকাশে কী ভাবে টিকে থাকতে পারবে মানুষ, কী তার সুবিধা-অসুবিধা হতে পারে, ইত্যাদি।