নিজস্বীতে কপিরাইট নেই বানরের
"বন্যপ্রাণীদের সাংবিধানিক মর্যাদা থাকলেও এমন কোনও বিধিবদ্ধ নিয়ম নেই, যেখানে বানর নিজস্বীতে স্বত্ব দাবি করতে পারে।"
নিজস্ব প্রতিবেদন: ৭ বছর ধরে চলা বিতর্কে অবশেষে দাঁড়ি টানল মার্কিন আদালত। পিপল ফর দ্য এথিকাল ট্রিটমেন্ট অব অ্যানিমেল (পিটা) আবেদন খারিজ করে দিয়ে বিচারক জানিয়ে দেন, নিজস্বীতে বানরের কোনও কপিরাইট নেই! একই সঙ্গে এ দিন জেলা আদালতের রায়কেও খণ্ডন করে দেয় 'নাইনথ সার্কিট কোর্ট'। আদালত জানায়, "বন্যপ্রাণীদের সাংবিধানিক মর্যাদা থাকলেও এমন কোনও বিধিবদ্ধ নিয়ম নেই, যেখানে বানর নিজস্বীতে স্বত্ব দাবি করতে পারে।"
আরও পড়ুন- আদালতের রায়ে খোয়া গেল খোয়াজা আসিফের সাংসদ পদ
আরও একধাপ এগিয়ে, আদালত এও বলে, "মার্কিন সংবিধানের ধারা তিন অনুযায়ী, বানরের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছে তা বেনজির। এমন ঘটনা অতীতে কখনও ঘটেনি। যেহেতু বন্যপ্রাণীরা মানুষ নয়, তাই কপিরাইট আইনের এক নম্বর ধারায় জেলা আদালত যে রায় জানিয়েছে, তাতে আমরা অনুমোদন দিচ্ছি না।"
আরও পড়ুন- ১১৭ বছর বয়সে মৃত্যু হল বিশ্বের প্রবীণতম ব্যক্তির
উল্লেখ্য, নিজস্বী বিতর্কের সূত্রপাত ২০১১ সালে। ব্যবসায়িক স্বার্থে ঝুটিত্তয়ালা এক বানরের সেলফি উইকিপিডিয়াতে আপলোড করার চেষ্টা করেন আলোকচিত্রগ্রাহক স্ল্যাটার। উইকিপিডিয়া জানায়, যেহেতু নারুতো নামের ওই বানর নিজের ছবি নিজেই তুলেছে, তাই সেই ছবি ব্যবহারের অধিকার চিত্রগ্রাহক স্ল্যাটারের নেই। এরপরই ওই নিজস্বীর মালিকানা চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন স্ল্যাটার। গোড়ার দিকে নিম্ন আদালত চিত্রগ্রাহক স্ল্যাটারের আবেদন খারিজ করলেও 'নাইনথ সার্কিট কোর্ট' তাঁর পক্ষেই রায় ঘোষণা করে। যেহেতু স্ল্যাটারের ক্যামারাতেই নিজস্বীটি তোলা হয়, তাই ছবিটির স্বত্ব পান আলোকচিত্রগ্রাহকই।
আরও পড়ুন- মালালার নামে রাউলপিন্ডির একটি গ্রামের নামকরণ করল পাকিস্তান
তবে পিটার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী চিত্রগ্রাহক স্ল্যাটার যদি ওই ছবি ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহার করেন, তাহলে তিনি মুনাফার ২৫ শতাংশ দান করতে বাধ্য থাকবেন।