না মানে, না! সম্মতিহীন যেকোনও যৌন সম্পর্কই এবার থেকে 'ধর্ষণ'...
ধর্ষণ সংক্রান্ত সুইটজারল্যান্ডে যে আইন এতদিন ছিল, তাতে ধর্ষণের সংজ্ঞা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল; তবে এই মুহূর্তে যে-আইন হল, তাতে ধর্ষণের সংজ্ঞা নিয়ে ধোঁয়াশাটা কেটে গেল।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধর্ষণ সংক্রান্ত সুইটজারল্যান্ডে যে আইন এতদিন ছিল, তাতে ধর্ষণের সংজ্ঞা নিয়ে কিছুটা ধোঁয়াশা ছিল; তবে এই মুহূর্তে যে-আইন নিয়ে প্রস্তাব করা হল, তাতে ধর্ষণের সংজ্ঞা নিয়ে ধোঁয়াশাটা কেটে গেল। নতুন এই আইনে ধর্ষণের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে-- 'না মানে, না'! উল্টো দিকে, ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’। অর্থাৎ, সম্মতিহীন যেকোনও যৌন সম্পর্ককেই ধর্ষণ বলে বিবেচনা করতে হবে। এই প্রস্তাব সুইটজারল্যান্ডের পার্লামেন্টে সোমবার পাস হয়েছে। দেশটির পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় রায় দিয়েছে। তবে ধর্ষণ আইনে পরিবর্তন আনতে আরও কিছু ধাপ পেরোতে হবে বলে জানিয়েছে দেশটি।
আরও পড়ুন: বিস্ফোরক! এতদিনে জানা গেল করোনাভাইরাস 'ম্যান-মেড'; ছড়ানোর জন্য দায়ী কোন দু'টি দেশ?
সুইটজারল্যান্ডে বর্তমানে প্রচলিত আইন অনুযায়ী, কোনো মহিলাকে নিপীড়নের মধ্য দিয়ে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করলে তা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ওই নারী অন্যদিকের মানুষটির জোর জবরদস্তিকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রা পর্যন্ত ঠেকানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হলেই তবেই সেটিকে ধর্ষণ বলে বিবেচনা করা হয়। যদিও সুইটজারল্যান্ডে অনেকেই মনে করেন, চলতি এই আইনে ধর্ষণের যে সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তা সংশোধন প্রয়োজন। যৌন নিপীড়নের মাত্রা কেমন কিংবা যৌন নিপীড়নের শিকার ব্যক্তি নিপীড়নকারীকে কতটা প্রতিহত করার চেষ্টা করেছেন, তা চুলচেরা বিবেচনা না করে সম্মতিহীন সব ধরনের যৌন সম্পর্ককেই ধর্ষণের আওতাভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর সংখ্যা ২০ পেরিয়েছে, বউয়ের তালিকায় নিজের মেয়েও! ধর্মগুরুর কাণ্ডে হতবাক গোয়েন্দারা...
কিন্তু সম্মতি আছে কি নেই, কীভাবে তা নির্ধারণ করা হবে?
এ ব্যাপারে প্রচুর বিতর্ক আছে। কেউ কেউ মনে করেন, এক্ষেত্রে একেবারে স্পষ্ট ‘না মানে না’ নীতি মেনে চলতে হবে। অর্থাৎ, কোনো ব্যক্তি যদি যৌন সম্পর্ক স্থাপনের ব্যাপারে সুস্পষ্ট করে আপত্তি জানান, তবে বুঝতে হবে তাঁর সম্মতি নেই।
চলতি বছরের শুরুর দিকে সুইটজারল্যান্ডের পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ কাউন্সিল অব স্টেটসে এ নিয়ে ভোটাভুটি হয়। গতকাল নিম্নকক্ষ ন্যাশনাল কাউন্সিলেও ভোটাভুটি হল। এদিন আরও সুনির্দিষ্ট করে বলা হয়েছে ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’। অর্থাৎ যৌন সম্পর্ক স্থাপনে সুস্পষ্ট সম্মতি থাকতে হবে। অন্যথায়, তা ধর্ষণ হিসেবে বিবেচিত হবে। সোমবার ‘হ্যাঁ মানে হ্যাঁ’-এর পক্ষে ৯৯টি ভোট পড়েছে। ৮৮ জন এর বিরোধিতা করেছেন। ভোটদানে বিরত ছিলেন ৮৮ জন।