সমকামী অধিকার আন্দোলনের স্বীকৃতি আমেরিকায়, পাশে দাঁড়ালেন প্রেসিডেন্ট

বড় জয়। এলজিবিটির অধিকার আন্দোলনের স্বীকৃতি। পুরুষ সমকামীদের অধিকার আন্দোলনের জন্মস্থান হিসাবে নিউ ইয়র্কের একটি বারের নামকরণ করলেন বারাক ওবামা। এলজিবিটি আন্দোলনকে সম্মান দিতে এই প্রথম ছোট্ট একটি পার্ককে জাতীয় স্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা করা হল। 

Updated By: Jun 27, 2016, 10:23 PM IST
সমকামী অধিকার আন্দোলনের স্বীকৃতি আমেরিকায়, পাশে দাঁড়ালেন প্রেসিডেন্ট

ব্যুরো: বড় জয়। এলজিবিটির অধিকার আন্দোলনের স্বীকৃতি। পুরুষ সমকামীদের অধিকার আন্দোলনের জন্মস্থান হিসাবে নিউ ইয়র্কের একটি বারের নামকরণ করলেন বারাক ওবামা। এলজিবিটি আন্দোলনকে সম্মান দিতে এই প্রথম ছোট্ট একটি পার্ককে জাতীয় স্তম্ভ হিসাবে ঘোষণা করা হল। 

লড়াইটা দীর্ঘদিনের। অধিকারের আন্দোলন। লেসবিয়ান হোক বা গে, বাইসেক্সুয়াল হোক বা ট্রান্সজেন্ডার, সামাজিক এবং মানসিকভাবে তৃতীয় লিঙ্গের স্বীকৃতি আদায়ে মার্কিন মুলুকের রাস্তায় বারবার আছড়ে পড়েছে প্রতিবাদ। আন্দোলনের ঝড় উঠেছে। এলজিবিটির অধিকার আন্দোলন এখন আমেরিকার জাতীয় ইস্যু। একবছর আগে মার্কিন সুপ্রিম কোর্ট সমকামী বিয়ের আইনি বৈধতায় সিলমোহর দিয়েছে। 

এরই মধ্যে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের আরও একটি বড় জয়। তাঁদের পাশে দাঁড়ালেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁদের আন্দোলনকে সম্মান জানালেন তিনি। খবরের শিরোনামে উঠে এল স্টোনওয়াল ইন ও ক্রিস্টোফার পার্ক।

ম্যানহাটনের গ্রিনউইচ গ্রামে ছোট্ট জমিতে ক্রিস্টোফার পার্ক। কাছেই স্টোনওয়াল বার। ১৯৬৯-এ রেড করে পুলিস। বিক্ষোভ- আন্দোলন দাঙ্গার চেহারা নেয়। এই বারকে কেন্দ্র করেই ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে এলজিবিটির অধিকার আন্দোলন। ১৯৭০-এ দেশে প্রথম গে প্যারেড করে আন্দোলনকারীরা। 

সেই আন্দোলনকেই স্বীকৃতি। স্টোনওয়াল বার এবং ক্রিস্টোফার পার্ককে প্রথম জাতীয় মনুমেন্ট হিসাবে ঘোষণা করলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। অরল্যান্ডোয় গে নাইট ক্লাবে ভয়াবহ বন্দুকহানার পর এই ঘোষণা অত্যন্ত তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

.