নাইরোবিতে শপিং মলে জঙ্গী হামলায় গ্রেফতার এক ব্রিটেনের নাগরিক
কেনিয়ার ওয়েস্ট গেট শপিং মলে জঙ্গি হানার ঘটনায় ব্রিটেনের এক নাগরিককে গ্রেফতার করল পুলিস। নাইরোবি বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হামলার নেপথ্যে উঠে আসছে হোয়াইট উইডো বলে পরিচিত সামান্থা লেউথওয়েটের নাম। সন্দেহ, সামান্থা-সহ জঙ্গিদের মধ্যে ছিল কিছু মার্কিন এবং ব্রিটিশ জঙ্গি । এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
কেনিয়ার ওয়েস্ট গেট শপিং মলে জঙ্গি হানার ঘটনায় ব্রিটেনের এক নাগরিককে গ্রেফতার করল পুলিস। নাইরোবি বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। হামলার নেপথ্যে উঠে আসছে হোয়াইট উইডো বলে পরিচিত সামান্থা লেউথওয়েটের নাম। সন্দেহ, সামান্থা-সহ জঙ্গিদের মধ্যে ছিল কিছু মার্কিন এবং ব্রিটিশ জঙ্গি । এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
শপিং মলে চলছে জোরদার তল্লাসি। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কাজ করছে ফরেন্সিক দল ।
চারদিন পর জঙ্গি কবল থেকে মুক্ত হয়েছে কেনিয়ার ওয়েস্ট গেট শপিং মল। ঝলমলে শপিং মলের আনাচেকানাচে এখন কেবলই আতঙ্কের ছাপ। মল জুড়ে চলছে খানা তল্লাসি। ধ্বংসাবশেষ দেখে বোঝার উপায় নেই মলের আসল চেহারা কেমন ছিল। বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি কাজে নেমেছে ফরেন্সিক দল। কোনও বুবি ট্র্যাপ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখেছেন বিশেষজ্ঞরা। তছনছ হওয়া শপিং মলে দেহের খোঁজে চলছে তল্লাসি। নামানো হয়েছে পুলিস কুকুর। তদন্তে তেমন অগ্রগতি না হলেও সোমবার ব্রিটেনের এক নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
নাইরোবি বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় তাকে গ্রেফতার করা হয়। ব্রিটেনের ওই নাগরিক সোমালিয়ার বংশোদ্ভূত বলেই প্রাথমিকভাবে খবর। তবে ঠিক কতজন জঙ্গি পুলিসের নাগাল এড়িয়ে পালিয়ে গেছে তা বোঝা কঠিন। বহু জঙ্গিই পণবন্দির পোশাকে আশ্রয় নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীর নাকের ডগা দিয়ে পালিয়েছে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন হামলাকারীদের মধ্যে বিদেশিরা ছিল। ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা জঙ্গি সহ মৃতদের নাগরিকত্ব জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ১০০ ছোঁয়নি। যদিও জঙ্গি সংগঠন আল শাবাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে শপিং মলের ধবংসাবশেষ সরালে ওই সংখ্যাটা ১৫০ ছাড়িয়ে যাবে। সোমালিয়ায় কেনিয়ার সেনাবাহিনীর অভিযানের প্রতিবাদ জানাতেই এই হামলা বলে দাবি করেছে আল কায়দার মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনটি।
হামলার পিছনে উঠে আসছে হোয়াইট উইডো বলে পরিচিত সামান্থা লেউথওয়েটের নাম। সন্দেহ, সামান্থা-সহ জঙ্গিদের মধ্যে ছিল জনা তিনেক মার্কিন ও ব্রিটিশ মহিলা। এই বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কেনিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে এদিনও তাদের হামলায় কোনও মহিলার জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে আল শাবাব।