ক্রোঁশো, কফি আর ১২টি রোমশ বিড়াল
ক্রোঁশো, কফি আর ১২টি রোমশ বিড়াল। এই অভিনব সমন্বয়ে বাজার কাঁপাচ্ছে প্যারিসের এক ক্যাফে।
ক্রোঁশো, কফি আর ১২টি রোমশ বিড়াল। এই অভিনব সমন্বয়ে বাজার কাঁপাচ্ছে প্যারিসের এক ক্যাফে।
বাইরে থেকেই দেখা মিলবে। ভিতরে গেলে স্বাগত জানাবে ওরা ১২জন। ফ্রান্সের ক্যাফে দে চ্যাটের এটাই বিশেষ আকর্ষণ। যার টানে ফুল কোর্স মিল আর রেড ওয়াইনের মায়া ত্যাগ করে, ক্রোঁশোর সঙ্গে কফির কাপে চুমুক দিচ্ছেন প্যারিসবাসী।
ব্যবসা জমাতে লাগসই এক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যাও জুড়ে দিয়েছে ক্যাফে মালিক। বিড়ালের গায়ে হাত বোলালে নাকি একটি বিশেষ ধরনের স্পন্দন শরীরের স্নায়ুগুলোকে আন্দোলিত করে। যার ফলে ব্লাডপ্রেসার কমে, স্নায়ুর গতি নিয়ন্ত্রিত হয়। বিড়ালকে আদর করলে আর্থরাইটিস ও রিউম্যাটিজমের মতো অসুখও সেরে যেতে পারে বলে বরাভয় দিচ্ছেনতাঁরা।
কী করে সারবে অসুখ? তার কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যা নেই। অবশ্য তথ্য ও তত্ত্বের কচকচিতে জড়াতে নারাজ আমুদে প্যারিসবাসী। রোমশ বিড়ালগুলোকে আদর করার লোভেই বেশিরভাগ মানুষ ভিড় জমাচ্ছেন ক্যাফে দে চ্যাটে।
উইকএন্ড বটেই, কাজের দিনগুলিতেও লাঞ্চটাইম আর সন্ধেবেলা ক্যাফেতে পা রাখার জায়গা মেলে না। ক্যাফে তে যে কেউ যেতে পারেন। শর্ত একটাই। কোনও বিড়ালকে কোনওভাবে উত্যক্ত করা চলবে না।