খেলা চলাকালীন মাঠে ঢুকে ইজরায়েলি ফুটবলারদের ওপর আক্রমণ
ভিয়েনা: গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসনের রেশ ঢুকে পড়ল ফুটবল মাঠে।
ভিয়েনা: গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসনের রেশ ঢুকে পড়ল ফুটবল মাঠে। অস্ট্রিয়ায় ফুটবল ম্যাচ চলাকালীন মাঠে ঢুকে ইজরায়েলি ফুটবলারদের ওপর আক্রমণ করল প্যালেস্তেনিয়পন্থীরা। ইজরায়েলের ক্লাব মাক্কাবি হাফিয়ার (Maccabi Haifa) প্রদর্শনী ম্যাচ ছিল ফরাসি দল লিলের। সেই ম্যাচের ৮৬ মিনিটে মাঠে ঢুকে ইজরায়েলি ক্লাব মাক্বাবি হাফিয়ার ফুটবলরাদের ওপর লাথি ঘুসি চালাতে থাকে বিক্ষোভকারীরা।
আচমকা হানায় হতচকিত হওয়ার পর ইজরায়েলি ক্লাবের ফুটবলাররা পাল্টা লাথি-ঘুসি চালাতে থাকেন। ফুটবল মাঠ আচমকাই কিক বক্সিংয়ের রিঙ হয়ে ওঠে। রিজার্ভ বেঞ্চ থেকে ছুটে এসে মাক্কাবি দলের কোচও মাঠে ঢুকে লাথি-ঘুসি চালাতে থাকেন। তিন জন ফুটবলার গুরতর আহত হন। মাঠে ঢুকে ফুটবলারদের আক্রমণ করা দুষ্কৃতীরাও আহত হন। শেষ অবধি পুলিস ও নিরাপত্তরাক্ষীরা এসে পুরো ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এক ফুটবল সাংবাদিক এই ঘটনায় টুইটে লেখেন-এমন অভিজ্ঞতা ক জনের হয়। ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে লেখেন ম্যাচের শুরু থেকেই স্টেডিয়ামের আসনে ইজরায়েলি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান চালাতে থাকেন একদল যুবক। তাদের হাতে ছিল প্যালেস্তাইনের পতাকা। খেলার একেবারে শেষের দিকে নিরাপত্তরক্ষীদের চোখে ধুলো দিয়ে ইজরায়েলের ক্লাবের ফুটবলারদের আক্রমণ করতে শুরু করেন। ফুটবলাররাও পাল্টা আঘাত হানেন।
এমন ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ইজরায়েল সরকার। ম্যাচে ২-০ জয়ের আনন্দে ম্লান হয়ে যায় ইজরায়েলি দলের।
এদিকে, গাজায় মৃত্যুমিছিল অব্যাহত। জঙ্গিগোষ্ঠী হামাসের রকেটহানা ঠেকাতে আটোই জুলাই থেকে বোমাবর্ষণ শুরু করেছে ইজরায়েল। যার মাশুল গুনতে হচ্ছে প্যালেস্তাইনের নিরীহ মানুষকে। ইজরায়েলি সেনা অভিযানে ইতিমধ্যেই মৃতের সংখ্যা ৭০০ কাছাকাছি পৌছে গিয়েছে। গাজার শহরতলি খান ইউনিস ও শেজাইয়া থেকে আহত ব্যক্তিদের সরিয়ে নিয়ে যেতে সাময়িক যুদ্ধ বিরতির ঘোষণা করেছিল রেডক্রস।
কিন্তু সেই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ ছিল ক্ষণস্থায়ী। এরপর বুধবার গাজা শহরে রেটক্রসের অ্যাম্বুলেন্সে হামলা চালায় স্থানীয় বাসিন্দারা। গাজায় ইজরায়েলি আগ্রাসনে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে ঘটনা ঘটেছে এবং সম্ভাব্য যুদ্ধাপোরাধের যেসমস্ত অভিযোগ জমা পড়েছে, তা আন্তর্জাতিক ও নিরপেক্ষ তদন্ত শুরু করেছে রাষ্ট্রসংঘ। তবে রাষ্ট্রসংঘের এই তদন্ত প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।