ইনিই দুনিয়ার সবচেয়ে 'ভাগ্যবান'!
ওর একটা ভাল নাম আছে। কিন্তু ওর দেশে সবাই ওকে ডাকে দুনিয়ার সবচেয়ে ভাগ্যবতী মহিলা নামে। আর বলবে নাই বা কেন! মানুষকে কে কী তখনই ভাগ্যবান বলা যায় যখন সে ভাল চাকরি, ব্যবসা, পরিবার, জীবনসঙ্গীর অধিকারী হয়। না ভাগ্যবান হওয়ার আরও অনেক কিছু জিনিস থাকে। এই যেমন, অস্ট্রেলিয়ার কনকেট্টা অ্যান্টিকো। এই অসি শিল্পী হলেন টেট্রাক্রোম্যাট। মানে উনিযে কোনও মানুষের চেয়ে অন্তত ১০০টা বেশি রঙ দেখতে পান। সাধারণ মানুষের চোখে তিন ধরনের কোন থাকে। পাখি, মাছ, পোকা, কিছু সরীসৃপের চার ধরনের কোন থাকে। কিন্তু অ্যান্টিকো হলেন দুনিয়ার একমাত্র ব্যতিক্রমী মনানুষ, যিনি বাকি সবার থেকে অন্তত একশোটা বেশি রঙ দেখতে পান। অ্যান্টিকোই হলেন দুনিয়ার একমাত্র 'Tetrachromat'।
ওয়েব ডেস্ক: ওর একটা ভাল নাম আছে। কিন্তু ওর দেশে সবাই ওকে ডাকে দুনিয়ার সবচেয়ে ভাগ্যবতী মহিলা নামে। আর বলবে নাই বা কেন! মানুষকে কে কী তখনই ভাগ্যবান বলা যায় যখন সে ভাল চাকরি, ব্যবসা, পরিবার, জীবনসঙ্গীর অধিকারী হয়। না ভাগ্যবান হওয়ার আরও অনেক কিছু জিনিস থাকে। এই যেমন, অস্ট্রেলিয়ার কনকেট্টা অ্যান্টিকো। এই অসি শিল্পী হলেন টেট্রাক্রোম্যাট। মানে উনিযে কোনও মানুষের চেয়ে অন্তত ১০০টা বেশি রঙ দেখতে পান। সাধারণ মানুষের চোখে তিন ধরনের কোন থাকে। পাখি, মাছ, পোকা, কিছু সরীসৃপের চার ধরনের কোন থাকে। কিন্তু অ্যান্টিকো হলেন দুনিয়ার একমাত্র ব্যতিক্রমী মনানুষ, যিনি বাকি সবার থেকে অন্তত একশোটা বেশি রঙ দেখতে পান। অ্যান্টিকোই হলেন দুনিয়ার একমাত্র 'Tetrachromat'।
আমরা যখন কোনও পাতার দিকে তাকাই তখন দেখি সেটা রঙ সবুজ। কিন্তু অ্যান্টিকো ওই পাতার মধ্যেই দেখতে পান আরও হরেকরকম রঙ।
অ্যান্টিকোই বললেন, তিনি যখন সাধারণ পাতার দিকে দেখেন তখন তার গোড়ার দিকে দেখতে পান কমলা, আর ছায়ায় দেখেন লাল অথবা বেগুনী রঙ। আবার অন্য একটা পাতায় তিনি দেখতে পান বেগুনি, নীল আর আকাশী নীল। অ্যান্টিকোর দুনিয়া সত্যিই রঙীন। যে কোনও অতি সাধারণ জিনিসে এত ধরনের রঙ দেখতে পান যাতে তাঁর দুনিয়াটাই আলাদারকম সুন্দর হয়ে দাঁড়ায়।
অ্যান্টিকো যা দেখেন তাই আঁকেন। অ্যান্টিকোর আঁকার ছবি দেখেই বোঝা যায় ওর রঙীন দুনিয়াটা আমাদের চেয়ে কতটা আলাদা।
এবার বুঝলেন অ্যান্টিকোকে কেন বলা হয় দুনিয়ার সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। একই পৃথিবীতে থেকে ও কতটা রঙীন হয়ে যায়।