গুলশন হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে এখনও ধোঁয়াশায় বাংলাদেশ পুলিস
গুলশনের হামলাকারীদের মধ্যে একজন কি হোলি আর্টিজানের শেফ? পুলিসের প্রকাশ করা ছবি দেখে তেমনই দাবি শেফ সইফুল ইসলামের স্ত্রীর। সোনিয়া আখতার নামে ওই মহিলার দাবি, দেড়বছর ধরে ওই রেস্তোরাঁয় পিত্জা বানানোর কাজ করতেন তাঁর স্বামী। যদিও, আইএসের প্রকাশ করা হামলাকারীদের ছবিতে হদিশ নেই সইফুলের।
ওয়েব ডেস্ক: গুলশনের হামলাকারীদের মধ্যে একজন কি হোলি আর্টিজানের শেফ? পুলিসের প্রকাশ করা ছবি দেখে তেমনই দাবি শেফ সইফুল ইসলামের স্ত্রীর। সোনিয়া আখতার নামে ওই মহিলার দাবি, দেড়বছর ধরে ওই রেস্তোরাঁয় পিত্জা বানানোর কাজ করতেন তাঁর স্বামী। যদিও, আইএসের প্রকাশ করা হামলাকারীদের ছবিতে হদিশ নেই সইফুলের।
গুলশনের হোলে আর্টিজানে হামলার পর পেরিয়ে গেছে ৪৮ ঘণ্টা। কিন্তু, হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। হোলি আর্টিজানকে জঙ্গিমুক্ত করার পর শনিবার রাতেই ৫ হামলাকারীর ছবি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করে বাংলাদেশ পুলিস। সেই ছবিতে সাদা শেফের অ্যাপ্রন পরা একজনের ছবি রয়েছে। ওই ব্যক্তি হোলি আর্টিজানের শেফ বলে দাবি পরিবারের।
বাংলাদেশের নড়িয়াল উপজেলার বাসিন্দা সোনিয়া সোনিয়া আখতারের দাবি, শেফের পোশাক পরা ওই ব্যক্তি আদতে তাঁর স্বামী সইফুল ইসলাম চৌকিদারের। সইফুল ইসলাম দেড়বছর ধরে হোলি আর্টিজানে পিত্জা তৈরির কাজ করতেন। হোলি আর্টিজানের চাকরির আগে ১০ বছর জার্মানির এক রেস্তোরাঁয় কাজ করতেন সইফুল।
সোনিয়ার দাবি, হামলার দিন অর্থাত্ শুক্রবার সন্ধের পর থেকে মোবাইলে সইফুলের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন নি তিনি। কিন্তু, সইফুলের পরিচয় সামনে আসার পর ধন্ধ আরও বেড়েছে। কারণ বাংলাদেশ পুলিসের পাশাপাশি সেদিনের হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করেছে হামলার দায় স্বীকার করা আইএসও। আইএসের প্রকাশ করা ৫জঙ্গির ছবির মধ্যে নেই সইফুল। এমনকি তার নামেরও কোনও উল্লেখ নেই। ধোঁয়াশা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি বাংলাদেশ পুলিস। এখনও পর্যন্ত জানানো হয়নি, সেদিন ধরা পড়ে যাওয়া একমাত্র জীবিত জঙ্গির নামও। তাই শুক্রবার রাতে হোলে আর্টিজানের ঠিক কতজন হামলা চালায়? তানিয়ে ধোঁয়াশা রয়েই যাচ্ছে।