ইরানে সোলেমানির শেষকৃত্যে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা; পদপিষ্ট হয়ে মৃত ৩৫, গুরুতর জখম বহু
রেভোলিউশনারি গার্ড আল-কুর্দের কমান্ডার জেনারেল সোলেমানির আচমকা মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে গোটা দেশ। রাতারাতি দেশের হিরো হয়ে গিয়েছেন সোলেমানি
নিজস্ব প্রতিবেদন: মার্কিন হামলায় নিহত ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেমানির শেষকৃত্যে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা। শেষকৃত্যে আসা বিপুল মানুষের ভিড়ে পদপৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল ৩৫ জনের। আহত কমপক্ষে ১৫০।
আরও পড়ুন-Bharat Bandh: আগামিকাল ব্যাঙ্ক পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা, সমস্যা হতে পারে ATM-এও
সোলেমানির শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় তাঁর শহর দক্ষিণপূর্ব ইরানের কেরমানে। বিপুল মানুষ তাঁর শেষযাত্রায় যোগ দেন। ছিলেন দেশের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা খোমেইনি। ইরানের জাতীয় টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে, রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে মানুষজন। সাহায্যের চিত্কার করছেন অনেকে। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানস্থলে যেতে গিয়েই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় আবেগতাড়িত মানুষজনের মধ্যে। তাতেই বিপত্তি।
Have you EVER seen such a sea of humanity in your life, @realdonaldtrump?
Do you still want to listen to the clowns advising you on our region?
And do you still imagine you can break the will of this great nation & its people?
End of malign US presence in West Asia has begun. pic.twitter.com/5WzYM9OBuQ
— Javad Zarif (@JZarif) January 6, 2020
ইরানের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের প্রধান পিরহোসেন কৌলিভান্দ সংবাদমাধ্যমে জানান, পদপৃষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে ওই ৩৫ জনের। কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মীও ওই ঘটনায় আহত হয়েছেন। উল্লেখ্যে, সোমবার সোলেমানির স্মরণে তেহরানে মিছিলে যোগ দেন কমপক্ষে ১০ লাখ মানুষ। সবার মুখে একটাই কথা, ইস্রায়েলের ধ্বংস চাই।
সোলেমানির মৃত্যুর ঘটনায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ফুঁসছে ইরান। ইরান এর মধ্যেই হুঁশিয়ারি দিয়েছে, সোলেমানির মৃত্যুর জন্য মূল্য দিতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। পশ্চিম এসিয়ায় যেসব দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র তাদের চরম শাস্তি দেওয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছে ইরানের রেভোলিউশনারি গার্ড।
আরও পড়ুন-নতুন জেলা হবে সুন্দরবন, কেন্দ্র দেয়নি, আমার টাকা হলে গঙ্গাসাগরে ব্রিজ বানিয়ে দেব : মমতা
রেভোলিউশনারি গার্ড আল-কুর্দের কমান্ডার জেনারেল সোলেমানির আচমকা মৃত্যুতে মুষড়ে পড়েছে গোটা দেশ। রাতারাতি দেশের হিরো হয়ে গিয়েছেন সোলেমানি। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ইরাকে মার্কিন বাহিনীর ওপরে হামলার প্রধান মাথা সোলেমানি। এছাড়াও ইরাকে একাধিক জায়গায় মার্কিন বাহিনীর ওপরে হামলার ছক করেছিলেন সোলেমানি। শুক্রবার ইরাকে বিমানবন্দরের বাইরে তাঁর ওপরে ড্রোন হামলা চালায় মার্কিন বাহিনী। তাতেই মৃত্যু হয় ইরানি জেনারেলের।