সেনা-মুক্ত সিয়াচেন, ঐকমত্য হল না বৈঠকে
দু`দিনের আলোচনার পর জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বৈঠককে `ইতিবাচক` বলে বর্ণনা করলেন ভারত ও পাক প্রতিরক্ষা সচিব। পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐকমত্য কিন্তু অধরাই থেকে গেল! তবে ২০০৩ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি চলতে থাকা সিয়াচেন হিমবাহে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে দু`পক্ষই।
দু`দিনের আলোচনার পর জারি করা যৌথ বিবৃতিতে বৈঠককে `ইতিবাচক` বলে বর্ণনা করলেন ভারত ও পাক প্রতিরক্ষা সচিব। পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ঐকমত্য কিন্তু অধরাই থেকে গেল! তবে ২০০৩ সাল থেকে যুদ্ধবিরতি চলতে থাকা সিয়াচেন হিমবাহে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সম্মত হয়েছে দু`পক্ষই।
সোমবার থেকে পাকিস্তানের রওয়ালপিন্ডিকে শুরু হয় সিয়াচেন হিমবাহে সেনা সন্নিবেশ কমানোর বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সচিব পর্যায়ের বৈঠক। দু`দিনের এই বৈঠকে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব ছিলেন প্রতিরক্ষা সচিব শশীকান্ত শর্মা। অন্যদিকে পাক প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন গিলানি সরকারের বিদেশ সচিব নার্গিস শেঠি। বৈঠক চলাকালীন পাক প্রতিরক্ষামন্ত্রী নাভিদ কামারের সঙ্গেও বৈঠক করেন শশীকান্ত শর্মা। দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় সিয়াচেন সমস্যার স্থায়ী সমাধানের কোনও দিশানির্দেশ না মিললেও `ঐকান্তিক ও কার্যকরী` প্রচেষ্টা চালানোর বিষয়ে সম্মত হয়েছেন দু`তরফের প্রতিনিধিরা।
গত ৭ এপ্রিল সিয়াচেন হিমবাহের ধারে গায়ারিতে পাক সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে তুষার ধসে ১৩৯ জন পাক সেনার মৃত্যুর পর সেনাপ্রধান পারভেজ আশফাক কিয়ানি পৃথিবীর উচ্চতম যুদ্ধক্ষেত্র থেকে সেনা প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। কায়ানির যুক্তি ছিল- সিয়াচেন এবং তার আশপাশের হিমবাহগুলির বরফগলা জলেই পুষ্ট হয় পাকিস্তানের বহু নদী। তাই পরিবেশ ও জলসম্পদ বণ্টন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সনদ মেনে এই এলাকাকে সেনা-মুক্ত করার প্রয়োজন রয়েছে।
১৯৮৪ সালে `অপারেশন মেঘদূত`-এর সাফল্যের ফলে সিয়াচেন হিমবাহের দু`পাশের অধিকাংশ গিরিবর্ত্মের দখল আসে ভারতীয় ফৌজের হাতে। সেখানে বেশ কিছু স্থায়ী বাঙ্কার`ও তৈরি করা হয়। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তানের আবেদন মেনে `ডি-মিলিটারাইজেশন`-এর নামে বাঙ্কার খালি করা হলে কারগিল কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলেই আশঙ্কা সাউথ ব্লকের। ভারতীয় সেনাকর্তাদের মতে, সে ক্ষেত্রে ২২,৩০০ ফুট উচ্চতার সিয়াচেন হিমবাহের পুনর্দখল পেতে ঝরবে বহু রক্ত।