মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিকের

মূলত নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট। কারণ এই দুটি স্থানেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের বাস বেশি।

Updated By: Apr 8, 2020, 11:29 AM IST
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনায় মৃত্যু ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংবাদিকের

নিজস্ব প্রতিবেদন : নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে প্রাণ হারালেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সাংবাদিক। ইউনাইটেড নিউজ অফ ইন্ডিয়া নামের সংবাদসংস্থার প্রাক্তন সাংবাদিক ছিলেন ব্রহ্ম কাচিভোতলা। সোমবার রাতে নিউ ইয়র্কের হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর মৃত্যুতে স্তম্ভিত প্রবাসী ভারতীয় ও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন কমিউনিটি।

তবে শুধু তিনিই নন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী প্রবাসী ভারতীয় বা ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের একটা বড় অংশ করোনাভাইরাস আক্রান্ত। এ বিষয়ে সে দেশের কোনও সরকারি গণনা না থাকলেও সোশ্যাল মিডিয়া ও বিভিন্ন সংবাদ থেকে পরিস্কার যে করোনাভাইরাসের একটা বড় প্রভাব পড়েছে এই কমিউনিটিতে। মূলত নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি স্পষ্ট। কারণ এই দুটি স্থানেই ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিকদের বাস বেশি।

Indian Americans - Wikipedia

ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের মার্কিন নাগরিকদের একাধিক সংগঠনের প্রধান করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন চিকিত্সকদের সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতিও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁকে আইসিইউ-তে রাখা হয়েছে। নিউ ইয়র্ক মেট্রোপলিটান অঞ্চল এবং মেরিল্যান্ড ও ভার্জিনিয়ায় বেশ কিছু ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হদিশ মিলেছে। 

 হিউস্টনের এক আইটি কর্মী রোহান বাভদেকর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তানও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। স্থানীয় ভারতীয় বংশোদ্ভূদ মার্কিন নাগরিকদের সংগঠন তাঁর চিকিত্সার জন্য প্রায় ২ লক্ষ মার্কিন ডলার অনুদান সংগ্রহ করেছে। 

সিলিকন ভ্যালিতেও এক প্রবাসী ভারতীয় আইটি ইঞ্জিনিয়ার ও তাঁর পরিবারের দেহে করোনাভাইরাসের হদিশ মিলেছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, পরিবারের সকলে বাড়িতে থাকলেও তিনি খাবার-দাবার কিনতে দোকান গিয়েছিলেন। আর সম্ভবত তখনই তিনি সংক্রমণের শিকার হন। 

মার্চের শেষের দিকে নিউ ইয়র্কে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন সেলিব্রেটি শেফ ফ্লয়েড কার্ডোজের। কোভিড নাইন্টিন পজিটিভ হওয়ার দিন কয়েক আগেই তিনি মুম্বইয়ে তাঁর হোটেল ব্যবসার কাজে ঘুরে যান। 

ডেইটনে মাইয়ামি ভ্যালি হসপিটালের অভিজ্ঞ হার্ট বিশেষজ্ঞ ডঃ মুকুল এস চন্দ্র করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এবং তাঁর অবস্থা সঙ্কটজনক। তাঁকে ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে। 

ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান অনুসারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্য ৪ লক্ষ ছাড়িয়েছে। প্রায় ১৩ হাজার ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছেন। 

আরও পড়ুন: বন্ধ করে দেওয়া হবে আর্থিক সাহায্য, WHO-কে হুঁশিয়ারি করোনায় বিপর্যস্ত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের

.