পারস্পরিক শান্তি ও সহযোগিতা বজায় রাখতে সীমান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই ভারত-চিনের

সীমান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করল ভারত ও চিন। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতায় রাজি হয়েছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিয়মিত ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। মনমোহন সিং-এর চিন সফরের প্রথম দিনের সবচেয়ে বড় সাফল্য এই  প্রতিরক্ষা চুক্তি।   মনমোহন সিংয়ের তিনদিনের বেইজিং সফরের প্রথম দিনেই ভারত-চিন নটি চুক্তি সই হল।   দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর কে মাথুর এবং চিনা প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল সান জিয়ানগাও নয়টি চুক্তি সই করেছেন। তারমধ্যে অন্যতম হল সীমান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। সীমান্ত বরাবর পরিস্থিতি শান্ত রাখতে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর নিয়মিত ফ্ল্যাগ মিটিং-এ সহমত হয়েছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং। টেলি যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও স্বীকার করেছে দুদেশ। চিন ও ভারতের সেনা সদর দফতরের মধ্যে হট লাইন চালুর বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। সীমান্তে অস্থিরতা এড়াতে চূড়ান্ত সংযম দেখানোর কথা বলেছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং।

Updated By: Oct 23, 2013, 07:50 PM IST

সীমান্ত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে সই করল ভারত ও চিন। সীমান্তে শান্তি বজায় রাখতে পারস্পরিক সহযোগিতায় রাজি হয়েছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর নিয়মিত ফ্ল্যাগ মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুই দেশ। মনমোহন সিং-এর চিন সফরের প্রথম দিনের সবচেয়ে বড় সাফল্য এই  প্রতিরক্ষা চুক্তি।  
মনমোহন সিংয়ের তিনদিনের বেইজিং সফরের প্রথম দিনেই ভারত-চিন নটি চুক্তি সই হল।   দুদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভারতের প্রতিরক্ষা সচিব আর কে মাথুর এবং চিনা প্রতিরক্ষা সচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল সান জিয়ানগাও নয়টি চুক্তি সই করেছেন। তারমধ্যে অন্যতম হল সীমান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি। সীমান্ত বরাবর পরিস্থিতি শান্ত রাখতে দুদেশের মধ্যে যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। লাইন অফ অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোল বরাবর নিয়মিত ফ্ল্যাগ মিটিং-এ সহমত হয়েছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং। টেলি যোগাযোগ বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও স্বীকার করেছে দুদেশ। চিন ও ভারতের সেনা সদর দফতরের মধ্যে হট লাইন চালুর বিষয়টি নিয়েও ভাবনাচিন্তা চলছে। সীমান্তে অস্থিরতা এড়াতে চূড়ান্ত সংযম দেখানোর কথা বলেছে নয়াদিল্লি ও বেইজিং।
সীমান্ত প্রতিরক্ষা সহযোগিতা চুক্তি ছাড়াও কয়েকটি মউ সই করেছে দুদেশ। সড়ক-পরিবহন, সীমান্তবর্তী নদীগুলি নিয়ে মউ স্বাক্ষরিত করেছে ভারত ও চিনের মধ্যে।   
 
দু`দেশের মধ্যে মতপার্থক্যের বিষয়গুলির তুলনায় মতৈক্যর বিষয়টাই বেশি। ভারত-চিনের সম্পর্ক বহু দিনের। দুদেশের সরকার সীমান্ত সমস্যা সামলাতে সক্ষম। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে এই সমস্যার প্রভাব যাতে না পড়ে সেদিকে নজর রেখেছে দু`দেশ।
 
চিনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংকে ভারতে আসার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সমস্যায় জেরবার নয়াদিল্লি। প্রায় প্রতিদিনই গোলাবর্ষণ হচ্ছে। এই অবস্থায় চিনের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি সই ঘরের মাটিতে কিছুটা স্বস্তি দেবে মনমোহন সিং সরকারকে।

.