বৈঠক বাতিল করে শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ হারাল ভারত, হুঁশিয়ারি পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশির

আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘে বৈঠকের ফাঁকেই ভারত এবং পাকিস্তানের দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে পাকা ছিল। আলোচনার বিষয়ে পাকিস্তানের অনুরোধে সাড়া দিয়েছিল নয়া দিল্লি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদল করতে হয় ভারতকে।

Updated By: Sep 22, 2018, 01:27 PM IST
বৈঠক বাতিল করে শান্তি প্রক্রিয়ার সুযোগ হারাল ভারত, হুঁশিয়ারি পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশির
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানের সঙ্গে বৈঠক বাতিল করে আখেরে ভারতের ক্ষতি হল বলে হুঁশিয়ারি সে দেশের বিদেশমন্ত্রী শাহ মেহমুদ কুরেশির। আগামী সপ্তাহে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসঙ্ঘে বৈঠকের ফাঁকেই ভারত এবং পাকিস্তানের দুই বিদেশমন্ত্রীর বৈঠক হওয়ার কথা প্রাথমিকভাবে পাকা ছিল। আলোচনার বিষয়ে পাকিস্তানের অনুরোধে সাড়া দিয়েছিল নয়া দিল্লি। কিন্তু ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থান বদল করতে হয় ভারতকে।

আরও পড়ুন- সার্জিক্যাল স্ট্রাইক দিবস নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য ফের সংঘাত

কেন্দ্রের তরফের স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়, পাক বিদেশমন্ত্রী কুরেশি সঙ্গে কোনও আলোচনা করবেন না ভারতের বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। যুক্তি, আলোচনার কথা বললেও, স্বতপ্রণোদিতভাবে ভারতের মাটিতে হিংসা ছড়াচ্ছে ইসলামাবাদ। নৃশংসভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের তিন জওয়ানকে হত্যা করা হয়েছে। বুরহান ওয়ানির মতো জঙ্গির পোস্টাল স্ট্যাম্প প্রকাশ করে কাশ্মীরে জঙ্গিদেরকে ‘গৌরবান্বিত’ করা হচ্ছে।

এই বৈঠক বাতিল হওয়ায় দুর্ভাগ্যজনক বলে ব্যাখ্যা করেন পাক বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দুর্ভাগ্যের বিষয়, বৈঠক নিয়ে ভারত কোনও ইতিবাচক সাড়া করল না। শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ে ভারত আরও এক বার সুযোগ হারাল।” কুরেশি জানিয়েছেন, দুই দেশে শান্তি ফেরাতে বসে আলোচনা করা উচিত ভারতকে। এই প্রত্যাখ্যান অন্দরে চাপেই ভারত সরকারকে নিতে হয়েছে বলে দাবি করেন কুরেশি। কুরেশির এই মন্তব্য রীতিমতো জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ‘অভ্যন্তরীণ চাপ’ বলতে কোন বিষয়কে কটাক্ষ করছেন কুরেশি? এ নিয়ে জলঘোলা শুরু হয়। কুরেশির উদ্ধৃত মন্তব্য করে পাক সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ভারতে আগামী লোকসভা নির্বাচনে প্রস্তুত নিতে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

আরও পড়ুন- ইমরানের মুখোশ খুলে গিয়েছে, পাকিস্তান শোধরাবে না, কড়া বার্তা মোদী সরকারের

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, কাশ্মীরে একের পর এক জওয়ানের নৃশংস হত্যা চলছে। কাশ্মীর ইস্যুতে বাড়তি চাপে মোদী সরকার। এই পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা দেশবাসীর কাছে নেতিবাচক বার্তা যাবে বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ক্ষমতায় এসে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নতি করতে নরেন্দ্র মোদী অত্যুত্সাহী হয়েছিলেন। এরপর পাঠানকোটের মতো ঘটনার মাসুল গুনতে হয় দেশকে। তাই অতীত থেকে শিক্ষা নিয়েই অত্যন্ত সন্তর্পনেই পা ফেলতে চাইছে নয়া দিল্লি। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

.