বাংলাদেশে ধরা পড়ল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি
বাংলাদেশে ধরা পড়ল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। খাগড়াগড় মডিউলের চাঁই হাতকাটা নাসিরুল্লাহ। ঢাকার হোলে আর্টেজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রীও সেই। চাঁপাই নবাবগঞ্জের আমবাগান থেকে তাকে ধরেছে পুলিস।
ওয়েব ডেস্ক: বাংলাদেশে ধরা পড়ল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি। খাগড়াগড় মডিউলের চাঁই হাতকাটা নাসিরুল্লাহ। ঢাকার হোলে আর্টেজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলার অন্যতম চক্রীও সেই। চাঁপাই নবাবগঞ্জের আমবাগান থেকে তাকে ধরেছে পুলিস।
সোহেল মেহফুজ। শাহাদাত। রিমন। নাসিরুল্লাহ। বহু নাম। বহু ছদ্মবেশ। কিন্তু, শরীরের একটি ত্রুটিই ধরিয়ে দিল আন্তর্জাতিক জঙ্গিকে। ২০০৫ সালে নওগাঁর আত্রাই এলাকায় কুখ্যাত জঙ্গি বাংলা ভাইয়ের সঙ্গে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাত উড়ে যায় সোহেল মেহফুজের। ভারতের গোয়েন্দা বিভাগ তাকে চেনে নাসিরুল্লাহ নামে। কানেকশন খাগড়াগড় জঙ্গি মডিউল।
২০০৯ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতে JMB-র সংগঠন বিস্তারের কাজ করেছে নাসিরুল্লাহ। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোরখা ঘরের আড়ালে জঙ্গি মডিউল চালাত নাসিরুল্লাহ । ভারতীয় পরিচয়পত্র পেতে মুর্শিদাবাদের এক মেয়েকে বিয়েও করে নাসিরুল্লাহ। বাংলাদেশের চাঁপাই নবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ ও দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে তার ২ স্ত্রী রয়েছেন। শিমুলিয়া মাদ্রাসা ও মুকিবনগর মাদ্রাসায় জঙ্গি নিয়োগ ও প্রশিক্ষণেও সরাসরি যুক্ত ছিল নাসিরুল্লাহ। অসমের কাছার, বরপেটা এবং পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও হাওড়ার নামে-বেনামে নাসিরুল্লাহর সক্রিয়তার তথ্য রয়েছে।
নাসিরুল্লাহর মাথার দাম ১০ লক্ষ টাকা ঘোষণা করে NIA । খাগড়গড় বিস্ফোরণের পর বাংলাদেশে পালায় নাসিরুল্লাহ। যোগ দেয় নব্য JMB-তে। ঢাকার গুলশনে হোলে আর্টেজান ক্যাফেতে জঙ্গি হামলায় বিস্ফোরকও সরবরাহ করে। তারপর বারবার নাম ও আস্তানা বদলে পুলিসের সঙ্গে লুকোচুরি। শেষ রক্ষা হল না। কাটা হাতই ধরিয়ে দিল হাতকাটা এই জঙ্গিকে।