Imran Khan Arrested: খোদ প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে হামলা, একের পর এক গাড়িতে আগুন দিল ইমরান সমর্থকরা
ইমরানের গ্রেফতারের পরই লাহোরে সেনাবাহিনীর সদর দফতরের সামনে জড়ো হয় বিশাল জনতা। শুরু হয় পাথর নিক্ষেপ। এরপর জোর করে সদর দফতরে ঢুকে পড়ে প্রচুর মানুষ। এক পিটিআই সমর্থকের দাবি, আইএসআই-এর সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে ২ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে মেরেছে নিরাপত্তারক্ষীরা
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশজোড়া বিক্ষোভ এবার পৌঁছে গেল খোদ প্রধানমন্ত্রীর দরজায়। ইমরান খান গ্রেফতার হওয়ার পরই লাহোরে সেনা সদরে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ জনতা। পাশাপাশি এক কর্প কমান্ডারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালায় পিটিআই সমর্থকরা। এবার বুধবার খোদ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের বাড়িতেও হামলা চালায় জনতা। প্রধানমন্ত্রীর বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় ইমরান খানের সমর্থকরা।
আরও পড়ুন-হাসপাতালে পায়ের ক্ষতের ড্রেসিং করছিলেন তরুণী চিকিত্সক, তাঁকেই কুপিয়ে খুন করল যুবক
এদিন প্রায় পাঁচশো পিটিআই সমর্থক লাহোরের মডেল টাউনে শাহবাজ শরিফের বাড়ির চৌহদ্দির মধ্যে ঢুকে পড়ে। এরপর দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। পুলিসের দাবি, বোমারা ছোড়া হয়েছে। পুলিসের পোস্টেও আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ছুটে যায় বিশাল পুলিস বাহিনী। পুলিসের আরও দাবি, পঞ্জাব প্রদেশে ১৪ সরকারি ভাবন, পুলিসের ২১টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে পিটিআই সমর্থকরা।
ইমরান খানের গ্রেফতারের পর রাস্তায় নেমে তোলপাড় করছে পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ সমর্থকরা। কোনও সেনা সদরে হামলা চালানো হয়েছে, কোথাও পুলিসের গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে, কোথাও সরকারি সম্পতিতে হামলা চালিয়েছে ক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পঞ্জাবে সেনা নামানো হয়েছে। এই গোলামালের মধ্য়ে সেনা কর্মীদের বাড়ি থেকে খাবারদাবার পর্যন্ত লুঠ করে নিয়ে গিয়েছেন ইমরান সমর্থকরা। সে রকমই কিছু ভিডিয়ো সামনে এসেছে। দেথা যাচ্ছে কারও হাতে স্ট্রবেরি, কারও হাতে কোর্মা, কেই নিয়ে যাচ্ছেন কোল্ড ড্রিংসের বোতল।
ইমরানের গ্রেফতারের পরই লাহোরে সেনাবাহিনীর সদর দফতরের সামনে জড়ো হয় বিশাল জনতা। শুরু হয় পাথর নিক্ষেপ। এরপর জোর করে সদর দফতরে ঢুকে পড়ে প্রচুর মানুষ। এক পিটিআই সমর্থকের দাবি, আইএসআই-এর সদর দফতরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময়ে ২ বিক্ষোভকারীকে গুলি করে মেরেছে নিরাপত্তারক্ষীরা। মিঞাওয়ালি বায়ুসেনা ঘাঁটির সামনে একটি নকল বিমানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
অশান্তি ছড়ায় পেশওয়ারেও। সেখাানে রেডিও পাকিস্তানের অফিসে আগুন ধরিয়ে দেয় জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। করাচি, ফইসলাবাদ, গুজরানওয়ালা, মুলতান, মরদানেও ছড়িয়ে পড়ে অশান্তি। রাওয়ালপিন্ডিতে সেনা সদরে হামলা চালায় ক্ষুব্ধ মানুষজন। তবে সংযমের পরিচয় দেয় সেনা। ফলে বড়সড় কোনও অশান্তি হয়নি। রাওয়ালপিন্ডি ও করাচিতে পুলিসের উপরে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। গ্রেফতারের আগে ইমরান খান আঙুল তুলেছেন সেনা ও আইএসআইয়ের দিকে। এমনকি এক ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের নেতত্বে তাঁকে ২ বার খুলের চেষ্টা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।