How Will Earth Die: দিন ঘনিয়ে এল পৃথিবীর? কী ভাবে মৃত্যু নীল গ্রহের জানিয়ে দিলেন শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা...

How Will Earth Die: 'দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্সে' প্রকাশিত গবেষণাপত্রে জানানো হয়েছে, কোনও গ্রহসংসারের ধ্বংস কী ভাবে ঘটে, তার যে মডেল এই গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, আপাতত সেটিই সব চেয়ে আধুনিক ও চূড়ান্ত বলে মনে করতে হবে।

Edited By: সৌমিত্র সেন | Updated By: Dec 20, 2022, 03:24 PM IST
How Will Earth Die: দিন ঘনিয়ে এল পৃথিবীর? কী ভাবে মৃত্যু নীল গ্রহের জানিয়ে দিলেন শঙ্কিত বিজ্ঞানীরা...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: একটা মডেল। সেটাই জানিয়ে দিল, কীভাবে একদা ধ্বংস হবে আমাদের এই সৌরজগৎ। না, ঠিক মডেল নয়। একটা দৃষ্টান্তই সামনে এসেছে। একটি গ্রহ আছড়ে পড়তে চলেছে তার সূর্যের উপর। ধ্বংসোন্মুখ সেই গ্রহটির নাম কেপলার-১৬৫৮বি। কেপলার স্পেস টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে, এই গ্রহটি অচিরেই তার সংশ্লিষ্ট সূর্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে পড়বে। 'দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটার্স'-য়ে এ সংক্রান্ত গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয়েছে। সেই লেখায় জানানো হয়েছে, কোনও গ্রসসংস্থানের ধ্বংস কী ভাবে ঘটে, তার যে মডেলটি এই গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, আপাতত সেটিই সব চেয়ে আধুনিক ও চূড়ান্ত। 

আরও পড়ুন: এবারের শীতে করোনার তিনটি ঢেউ দেখা দিতে পারে! দেশ জুড়ে ফের আতঙ্কের আবহ...

৪৫০ কোটি বছরের পুরনো এই পৃথিবী, এবং বিজ্ঞানীদের মতে, আরও কিছু দিন অক্ষুণ্ণ থাকবে আমাদের প্রিয় এই নীল গ্রহ। কিন্তু তারপর? একদিন তো শেষ হবেই এই গ্রহ। তখন কী ঘটবে, বা কীভাবে ধ্বংসসাধন হবে? হ্যাঁ, সেটারই একটা বিশ্বস্ত মডেল এতদিনে পাওয়া গেল। বিজ্ঞানে যা এতদিন নিছক থিয়োরি ছিল, সেটারই একটা বাস্তবায়িত তথ্যনিষ্ঠ রূপ পাওয়া গেল। সেটাকে পোশাকি ভাষায় 'রিয়েল লাইফ সিমিউলেশন' বলা হচ্ছে।

কী সেই বুকে কাঁপন-ধরানো মহাজাগতিক ঘটনা?

আরও পড়ুন: Christmas Asteroid: পৃথিবীর দিকে ভয়ংকর গতিতে ধেয়ে আসছে 'ক্রিসমাস অ্যাস্টেরয়েড'! কেউ জানে না কী ঘটবে...

হার্ভার্ড অ্যান্ড স্মিথসোনিয়ান-এর 'সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্সে'র মহাকাশবিজ্ঞানীরা দেখিয়েছেন, কী ভাবে ধ্বংসের পথে ছুটে চলেছে একটি গ্রহ। কেন এটা ঘটতে চলেছে, তার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, গ্রহটির কক্ষপথ ক্রমশ ক্ষয়ে যাচ্ছে। এই 'ক্ষয়ে যাওয়া'র অর্থ, একসময় সংশ্লিষ্ট গ্রহটি হুড়মুড় করে তার সূর্যের ঘাড়ে গিয়ে পড়বে। সূর্যের সঙ্গে গ্রহটির সংঘাতে গ্রহটি তো ধ্বংস হবেই, পাশাপাশি বিপুল ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ওই সৌরসংসারটিও।

এই প্রকল্পে যে গ্রহটির মাধ্যমে গবেষণা চালানো হয়েছে, তার নাম কেপলার-১৬৫৮বি। এই গ্রহটি প্রায় বৃহস্পতির মতোই আকার-আকৃতিসম্পন্ন। এটি তার সূর্যের বেশ খানিকটা কাছে অবস্থিত। ফলে এর কক্ষপথ ক্ষয়ে গেলে এটি খুব দ্রুত ধ্বংসের পথে চলে যাবে। এই গ্রহের কক্ষপথের ক্ষয়কার্য অতি দ্রুত ঘটছে। এবং এরকম চলতে থাকলে, অচিরেই গ্রহটির মৃত্যু হবে। কিন্তু কী ভাবে বোঝা যাচ্ছে, গ্রহটির কক্ষপথ ক্ষয়ে যাচ্ছে? গ্রহটির সমুদ্রে উত্তাল জোয়ার-ভাটাই এর প্রমাণ। যেটা ইদানীং পৃথিবীতেও হচ্ছে-- পৃথিবীর সমুদ্রে ঘন ঘন টাইডাল ওয়েভে পরিবর্তন ঘটছে। আর সেটাই ভয় ধরিয়ে দিয়েছে পৃথিবীর বিজ্ঞানীদের মনে। তা হলে কি দিন ঘনিয়ে এল পৃথিবীরও?

 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)  

.