Pentagon’s Hunt for Aliens: পেন্টাগনে আত্মগোপন করে রয়েছে এলিয়েন! গোপন মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি?
পেন্টাগন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল অজানা উড়ন্ত বস্তু দেখতে পাওয়ার বিবরণগুলি ভালো ভাবে পরীক্ষা করা এবং সিদ্ধান্তে আসা।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কিছু দিন আগেই পেন্টাগন তাদের একটি গবেষণার শেষে বলেছিল, ইউএফও প্রায় সর্বত্র আছে, তবে এলিয়েনের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম। এর আগেও পেন্টাগন ইউএফও নিয়ে রিপোর্ট দিয়েছে। তবে সেই রিপোর্টকে ঘিরে রটেছে নানা প্রশ্ন, নানা গুজবও। প্রশ্নের মধ্যে ছিল এরকম-- সেখানে কি সত্যিই এলিয়েন আছে? কেউ কি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারেন? আবার গুজব রটেছিল এই বলে যে, এলিয়েন বা ইউএফও আসলে গোপন মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি। তবে, এলিয়েন বা ইউএফও সংক্রান্ত বৈজ্ঞানিক প্রশ্নটি বিভিন্ন ক্ষেত্রের বিশেষজ্ঞকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। সেই তালিকায় ছিলেন জ্যোতির্পদার্থবিদ, জ্যোতির্বিজ্ঞানী, গ্রহবিজ্ঞানী, মহাকাশ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ প্রমুখ। ২০২০ সালের অগস্টে মার্কিন প্রতিরক্ষা দফতর বা পেন্টাগন একটি টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল। যার উদ্দেশ্য ছিল অজানা উড়ন্ত বস্তু দেখতে পাওয়ার বিবরণগুলি ভালেো ভাবে পরীক্ষা করে দেখা। এটির নাম ছিল 'আনআইডেন্টিফায়েড এরিয়াল ফেনোমেনা টাস্ক ফোর্স'। এর দায়িত্ব ছিল এসব ঘটনা চিহ্নিত করা, বিশ্লেষণ ও তালিকাভুক্ত করা। তা ছাড়া ইউএফও'র ধরন এবং উৎস সম্পর্কে জ্ঞান সংগ্রহ করা।
আরও পড়ুন: Allergic To Gravity: ২৩ ঘণ্টাই শুয়ে থাকেন যুবতী, চান মাধ্যাকর্ষণের আওতার বাইরে চলে যেতে!
রিপোর্টটিতে গত দুদশকের ১২০টি ইউএফও সংক্রান্ত ঘটনাকে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে ছিল তিনটি ভিডিও যা ততদিন পর্যন্ত গোপন রাখা হয়েছিল।
মার্কিন সংবাদমাধ্যমে সেই সময়ে কর্মকর্তা স্থানীয় কেউ কেউ বলেছিলেন, রিপোর্টে যে বলা হয়েছে, ভিনগ্রহের মানুষের কর্মকাণ্ডের কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি, সেটাও যেমন সত্যি, পাশাপাশি সেটার ব্যাপারে এমন কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তও যে নেওয়া যায় না, এটাও ভাবতে হবে। এলিয়েনের সম্ভাবনা বাতিল করেও দেওয়া যায় না।
তবে যে ক'টি গুরুত্বপূর্ণ কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই রিপোর্টে, তার মধ্যে ছিল এই গুরুত্বপূর্ণ বার্তাটাও-- ইউএফও কোনও গোপন মার্কিন সামরিক প্রযুক্তি নয়! কিন্তু তাহলে এই অজ্ঞাত উড়ন্ত বস্তুগুলি ঠিক কী? তা নিয়েও কোনও সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে অবশ্য পৌঁছতে পারেনি রিপোর্টটি। বলে দেওয়াই হয়েছিল, এলিয়েন বা ইউএফও সংক্রান্ত এই রিপোর্ট থেকে দুনিয়া-কাঁপানো আদ্যন্ত নতুন কোনও রহস্য উদ্ঘাটিত হবে না।
পাশাপাশি, এ-ও ঠিক, এলিয়েন বা ইউএফও এখন আর (দেখতে গেলে বহুদিন থেকেই) শুধু কল্পবিজ্ঞান বা ফিকশনাল ফিল্মের বিষয় হয়ে নেই। এ বিষয়ে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশের তরফে একটি সরকারি রিপোর্ট প্রকাশ করা হচ্ছে, তাতেই বোঝা যায়, বিষয়টির প্রভূত গুরুত্ব রয়েছে। ইউএফও বা এলিয়েন-ইস্যুটি এখন কল্পবিজ্ঞান ও পপসংস্কৃতির জগৎ থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার ইস্যুতে পরিণত হয়েছে।