নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্তানের মুখ দেখলেন খোদ সমকামী প্রধানমন্ত্রী

২০১৭ সালের জুনে ক্ষমতায় আসেন ৪৩ বছরের অ্যানা ব্রানবিচ। প্রথম দিন থেকেই সমকামিতা নিয়ে খোলামেলা তিনি

Updated By: Feb 25, 2019, 07:58 PM IST
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সন্তানের মুখ দেখলেন খোদ সমকামী প্রধানমন্ত্রী
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: একটি দেশের প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সমকামী। সমকামিতা নিয়ে কোনও রাখঢাকও নেই। অথচ সেই দেশে সমকামিতার আইনি বৈধতাই নেই। সেই লেসবিয়ান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গী এবার সন্তানের জন্ম দিলেন। তাঁর সমকামী সঙ্গী এবং পুত্রসন্তান সুস্থ আছে। দেশটার নাম জানেন কি?

প্রধানমন্ত্রী ‘বাবা’ হয়েছেন। এ আর নতুন কী! সন্তানের জন্ম দিয়েছেন তাঁর সঙ্গী। এতেও নতুনত্ব নেই। হোঁচট খাওয়ার গল্পটা ঠিক এর পরেই। এই প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সমকামী। এবং এমন একটা দেশ, যেখানে সমকামিতা বৈধ নয়। সেই দেশেরই রাষ্ট্রনায়ক শুধুমাত্র সমকামিতার ধ্বজাই ওড়ালেন না। তাঁর লেসবিয়ান সঙ্গীর সন্তানের ‘বাবা’ও হলেন। দেশটার নাম সার্বিয়া। লেসবিয়ান প্রধানমন্ত্রী অ্যানা ব্রানবিচ।

আরও পড়ুন- বাংলাদেশে নিহত বিমান ছিনতাইকারীর হাতে ছিল খেলনা পিস্তল

তাঁর নারী-সঙ্গী মিলিকা ডিজুরজিককে কোনওদিন লোকচক্ষুর আড়াল করেননি অ্যানা। সমকামিতা নিয়ে তাঁর কোনও রাখঢাকও নেই। এবার সে সম্পর্কে সিলমোহর। অ্যানার সঙ্গী জন্ম দিয়েছেন এক পুত্রসন্তানের। মিলিকা একজন চিকিত্সক। কৃত্রিম প্রজননের মাধ্যমে তিনি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। বাবা হলেন সার্বিয়ার প্রধানমন্ত্রী। বিশ্বের কাছে বার্তা দিলেন, সম্পর্কে লিঙ্গ জরুরি নয়। বাবা হওয়ার জন্য পুরুষ হওয়াও আবশ্যিক নয়।

২০১৭ সালের জুনে ক্ষমতায় আসেন ৪৩ বছরের অ্যানা ব্রানবিচ। প্রথম দিন থেকেই সমকামিতা নিয়ে খোলামেলা তিনি। বিরোধীরা কুত্সা রটিয়েছে। কিন্তু অ্যানা নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ দিয়ে দেশের মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন। সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেডের একটি সমকামী বারে পরিচয় হয় অ্যানা এবং মিলিকার।

আরও পড়ুন- পুলওয়ামা হামলাকে ‘ভয়াবহ’ বললেন ট্রাম্প, ইঙ্গিতও দিলেন সঠিক সময়ের জবাব দেওয়ার

সমকামী বিয়েতে আইনি স্বীকৃতি নেই সার্বিয়ায়। সমকামী দুই নারী চাইলে কোনও শিশুকে দত্তকও নিতে পারেন না। তার পরেও অ্যানা যা করলেন, সেটাকে ইতিহাস বলছে এলজিবিটি সম্প্রদায়ের মানুষ। তবে এই মুহূর্তে এলজিবিটি মুভমেন্ট নিয়ে সার্বিয়ায় বড়সড় আন্দোলন চলছে। পক্ষ এবং বিপক্ষ দুদলই নিজেদের মত থেকে সরে আসতে নারাজ। এই অবস্থায় সমকামী প্রধানমন্ত্রীর সুখবর আন্দোলনের পালে অনেকটাই হাওয়া জোগাবে।

.