গদ্দাফির মৃত্যুর তদন্তের দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের
ক্রমেই জটিল হচ্ছে মুয়াম্মার গদ্দাফির মৃত্যুরহস্য। ঠিক কোন অবস্থায় মারা গিয়েছেন লিবিয়ার শাসক তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটল না। এই পরিস্থিতিতে গদ্দাফির মৃত্যুকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে তার মৃত্যুর তদন্ত চাইল রাষ্ট্রসঙ্ঘ।
ক্রমেই জটিল হচ্ছে মুয়াম্মার গদ্দাফির মৃত্যুরহস্য। ঠিক কোন অবস্থায় মারা গিয়েছেন লিবিয়ার শাসক তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও কাটল না। এই পরিস্থিতিতে গদ্দাফির মৃত্যুকে যুদ্ধাপরাধ হিসেবে ঘোষণা করে তার মৃত্যুর তদন্ত চাইল রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এর মধ্যেই লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ জিব্রিল বলেছেন দুপক্ষের গোলাগুলির মাঝে পড়েই মারা গেছেন গদ্দাফি। কিন্তু গদ্দাফির শেষ মুহূর্তের ছবি থেকে এই বক্তব্যের সমর্থন মেলেনি। মিসরাতা শহরে পুরনো একটা মাংসের দোকানে গত দুদিন ধরে ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। ওই দোকানের মেঝেতে পড়ে আছে মুয়াম্মার গদ্দাফির নিথর শরীর। শনিবার গদ্দাফির মৃতদেহ দেখতে যান লিবিয়ার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিলের প্রধান
মাহমুদ জিব্রিল। গদ্দাফির ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ দেখে তিনি জানান, সিরতে শহরে দুপক্ষের গুলির লড়াইয়ের মাঝে পড়েই মারা গিয়েছেন গদ্দাফি। কিন্তু তাঁর এই বক্তব্য
মানতে নারাজ রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। চাপে পড়ে লিবিয়ার প্রশাসন গদ্দাফির দেহের ময়নাতদন্ত করে সেই রিপোর্ট শনিবারই হেগ-এ আন্তর্জাতিক আদালতে
পাঠিয়েছে। ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে গদ্দাফির ছেলে মুতাসিমের মৃত্যু নিয়েও। কয়েকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে মোতাসিম বেশ নিশ্চিন্তে একটি ঘরে বসে সিগারেট ও জল
খাচ্ছেন। কিন্তু তার পরেই মোতাসিমের ক্ষতবিক্ষত দেহের ছবি দেখা যায়। ঠিক কোন পরিস্থিতিতে মোতাসিমের মৃত্যু হয়েছে তা জানাতে পারেনি লিবিয়া প্রশাসন। গদ্দাফি
ও মোতাসিমের মৃতদেহ যথাযথ মর্যাদায় সমাধিস্থ করার জন্য দেহ তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি জানিয়েছে বিদেশে থাকা গদ্দাফি পরিবারের সদস্যরা। গদ্দাফির আট
ছেলেমেয়ের মধ্যে তিনজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে প্রশাসন। চারজন পালিয়ে অন্য দেশে আশ্রয় নিয়েছে বলে খবর। কিন্তু গদ্দাফির উত্তরসূরি হিসেবে কিছুদিন
আগেও যাকে ভাবা হত সেই সাইফ আল ইসলাম এখনও সির্তের আশপাশেই আছেন বলে মনে করছে বিদ্রোহীরা। বিভিন্ন সূত্রের খবর, নাইজার সীমান্তের কাছে গোপন
আশ্রয়ে লুকিয়ে আছেন সাইফ।