অগাস্ট আর দেখা হল না গাবোর: জীবনলিপি(১৯২৭-২০১৪)
চলে গেলেন ম্যাজিক রিয়ালিজমের জনক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। উই উইল সি ইচ আদার ইন অদাস্ট উপন্যাস অসম্পূর্ণ রেখেই। মার্কেজের জীবনলিরির কিছু সংক্ষিপ্ত ঘটনা-
চলে গেলেন ম্যাজিক রিয়ালিজমের জনক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ। উই উইল সি ইচ আদার ইন অদাস্ট উপন্যাস অসম্পূর্ণ রেখেই। মার্কেজের জীবনলিরির কিছু সংক্ষিপ্ত ঘটনা-
১৯২৭- কলম্বিয়ার ক্যারিবিয়ান উপকূলের আর্কাটাকায় জন্ম হয় গার্সিয়া মার্কেজের। বড় পরিবারের প্রথম সন্তান মার্কেজের ছোটবেলার বেশির ভাগ সময়ই কেটেছে দাদু-
ঠাকুমার সঙ্গে। ছোটবেলায় অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসার দাদুর সান্নিধ্যই পরে তাঁর বিখ্যাত উপন্যাস নো ওয়ান রাইটস টু কর্নেল রচনার অনুপ্রেরণা।
১৯৪০- উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য বারানকুইলা শহরে পাড়ি দেন মার্কেজ।
১৯৪৭- কলম্বিয়ার রাজধানী বাগোটায় ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে আইন পড়াকালীন এল এসপেক্তাদর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় তাঁর দুটি ছোট গল্পো।
১৯৪৮-১৯৫০ দাঙ্গার প্রভাবে ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বন্ধ হয়ে গেলে মার্কেজ বারানকুইলায় ফিরে আসেন। সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন গ্যাব্রিয়েল। তাঁর প্রথম উপন্যাস লিফ স্টর্ম লিখতে শুরু করেন এই সময়ই।
১৯৫৪- এল এসপেক্তাদর সংবাদপত্রে কাজ শুরু করেন গার্সিয়া মার্কেজ। এক কলম্বিয়ান নাবিককে নিয়ে একাধিক কিস্তিতে মার্কেজের লেখা কলম্বিয়ায় বিতর্কের ঝড় তোলে।
১৯৫৫-১৯৫৭ এই সময় প্রকাশিত হয় মার্কেজেপ প্রথম উপন্যাস `লিফ স্টর্ম।` এই সময় প্যারিসে থেকে কমিউনিস্ট পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন বিষয় নিজের লেখায় বিচরণ করতেন মার্কেজ।
১৯৫৮- বারানকুইলায় মার্সেডিজ বার্চাকে বিয়ে করেন মার্কেজ।
১৯৫৯- কিউবা বিপ্লবে ফিদেল কাস্ত্রোর উত্থানের পরই তাঁর আমন্ত্রণ পেয়ে কিউবায় যান মার্কেজ। সেই সময় থেকেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু তাঁরা। এইসময়ই মার্সেডিজ তাঁদের প্রথম সন্তান রডরিগোর জন্ম দেন।
১৯৬০-১৯৬১ অল্প কিছু সময়ের জন্য কিউবায় ছিলেন গ্যাব্রিয়েল। মেক্সিকোয় ফেরার আগে কার্লোস ফুয়েন্তেসের সঙ্গে হাত মেলান মার্কেজ। প্রকাশিত হয় নো ওয়ান রাইটস টু দ্য কর্নেল।
১৯৬২-১৯৬৬ গার্সিয়ার দ্বিতীয় সন্তান গঞ্জালোর জন্ম হয়। এই সময়ের মধ্যে পাবলিশার্স ও অ্যাডভার্টাইজিং এজেন্সির জন্য প্রচুর চিত্রনাট্য লেখেন তিনি। প্রায় দু`বছর সময় ধরে রচনা করেন তাঁর অমর উপন্যাস ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অফ সলিটিউড।
১৯৬৭- জুন মাসে প্রকাশিত হয় ওয়ান হান্ড্রেড ইয়ারস অফ সলিটিউড। সারা বিশ্বে জয়প্রিয়তা ও প্রশংসায় সমাদৃত হন লেখক। তাঁর পরিবার স্পেনে এসে থাকতে শুরু করে। ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত স্পেনেই থাকতেন তাঁরা।
১৯৭৫-১৯৭৬ বিভিন্ন লাতিন আমেরিকান ডিক্টেটরের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে রচনা করেন অটম অফ দ্য পেট্রিয়ার্ক। কোনও অজানা কারণে মার্কেজের মুখে ঘুষি মারেন মারিও ভার্গাস লোসা।
১৯৭৯-১৯৮১ কলম্বিয়া ও মেক্সিকোতে ভাগাভাগি করে থাকতে শুরু করেন গ্যাব্রিয়েল। ইউরোপে গিয়ে পোপ জন পল টু-এর সঙ্গে আলাপ হয়। ক্রনিকল অফ আ ডেথ ফোরটোল্ড লিখতে শুরু করেন তিনি।
১৯৮২- সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান গার্সয়া মার্কেজ।
১৯৮৩-১৯৮৭ প্রকাশিত হয় মার্কেজের অমর সৃষ্টি লভ ইন দ্য টাইম অফ কলেরা। চলচ্চিত্র রূপান্তরিত হয় ক্রনিকল অফ আ ডেথ ফোরটোল্ড।
১৯৮৯- দক্ষিণ আমেরিকার নেতা সিমন বলিভারের শেষজীবন নিয়ে লেখা দ্য জেনেরাল ইন হিস লেবিরিন্থ প্রকাশিত হয়।
১৯৯৪- আমেরিকান সাংবাদিকতাকে গণতন্ত্রিক ও স্বতন্ত্র হিসেবে প্রচারের উদ্দেশ্যে মার্কেজ গঠন করেন নিউ লিবেরো ফাউন্ডেশন।
১৯৯৬- কলম্বিয়ায় মাদক চক্রের পাণ্ডা পাবলো এসকোবারের বিভিন্ন জনপ্রিয় মানুষকে অপহরণ নিয়ে প্রকাশ করেন নিউজ অফ আ কিডন্যাপিং।
১৯৯৯-লসিকার ক্যান্সারে আক্রান্ত হন মার্কেজ। কেমোথেরাপির মাধ্যমে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
২০০২-২০০৪ লিভিং টু টেল দ্য টেইল প্রকাশিত হয় ২০০২ সালে। দু`বছর বাদে মেমোরিজ অফ মাই মেলনকোলি হোরস প্রকাশিত হয়। পাঠক, সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
২০১০-২০১২ গার্সিয়া মার্কেজের এডিটর বলেন উই ইউল সি ইচ আদার ইন অগাস্ট নামে একটি নতুন উপন্যাস লিখছেন মার্কেজ। তাঁর এক ছোট ভাই জেমি জানান, ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন মার্কেজ। তাই আর লিখতে পারছেন না তিনি।
২০১৪- মেক্সিকো সিটিতে নিজের বাড়িতে জীবনাবসান হয় ম্যাজিক রিয়ালিজমের পালক পিতার।