পিছিয়ে সারকোজি, ফ্রান্সে প্রথম দফায় এগিয়ে বামপন্থীরা
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটদানের হার ৭১ শতাংশ ছোঁয়াতেই ফরাসী জনতার মধ্যে 'অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টর'-এর পূর্বাভাস পেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যক্ষেত্রেও মিলে গেল সেই সম্ভাবনা। বতর্মান প্রেসিসেন্ট প্রধান নিকোলাস সারকোজিকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে পয়লা নম্বর স্থানে উঠে এলেন সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া হল্যাঁ।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটদানের হার ৭১ শতাংশ ছোঁয়াতেই ফরাসী জনতার মধ্যে 'অ্যান্টি ইনকাম্বেন্সি ফ্যাক্টর'-এর পূর্বাভাস পেয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কার্যক্ষেত্রেও মিলে গেল সেই সম্ভাবনা। বতর্মান প্রেসিসেন্ট তথা শাসকদল 'ইউনিয়ন ফর আ পপুলার মুভমেন্ট'-এর প্রধান নিকোলাস সারকোজিকে দ্বিতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম রাউন্ডে পয়লা নম্বর স্থানে উঠে এলেন সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থী ফ্রাঁসোয়া হল্যাঁ।
প্রথম দফার নির্বাচনে মোট প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। এর মধ্যে ২৮.৬৩ শতাংশ ভোট পেয়েছেন সোশ্যালিস্ট পার্টি । ২৭.০৮ শতাংশ ভোট পেয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। তাত্পর্যপূর্ণভাবে ১৮.০১ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় স্থান পেয়েছেন উগ্র দক্ষিণপন্থী ন্যাশনাল ফ্রন্ট-এর প্রার্থী মেরি ল্যঁ পেন। ১১.১৩ শতাংশ ভোট পেয়ে চতুর্থ স্থানের রয়েছেন ফরাসী কমিউনিস্ট পার্টির প্রার্থী জাঁ-লুক মেলেঞ্চো।
যুযুধান রাজনৈতিক দলগুলির কোনও প্রার্থীই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ৫০ শতাংশ ভোট না পাওয়ায় মে মাসের ৬ তারিখ দ্বিতীয় রাউন্ডের ভোট হবে। এই নির্বাচনে মুখোমুখি লড়াই হবে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা হল্যাঁ ও সারকোজির।
২০০৭ সাল থেকে ক্ষমতায় রয়েছেন প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। অর্থনীতির ক্ষেত্রে সারকোজিকে নীতিকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন হল্যাঁ। প্রথম দফার ভোটের ফল বলছে তাঁর সেই আবেদনে যথেষ্ট সাড়া দিয়েছেন ফরাসী ভোটদাতারা। নির্বাচিত হলে ফ্র্যাঁসোয়া হল্যাঁই হবেন ফ্র্যাঁসোয়া মিট্টারান্ডের পর প্রথম বামপন্থী প্রেসিডেন্ট। এর আগে ১৯৮১ এবং ১৯৯৫ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন মিট্টারান্ড ।
প্রসঙ্গত, ২০০২এর রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির (বর্তমানে এই দলেই নাম বদলে 'ইউনিয়ন ফর আ পপুলার মুভমেন্ট' হয়েছে) প্রার্থী হিসেবে দ্বিতীয় দফার ভোটের মাধ্যমে জয়ী হন জাক শিরাক। সে সময়ও প্রথম দফার নির্বাচনে জয়ী হওয়ার মতো ভোট কেউই পাননি। ফলে দ্বিতীয় দফার ভোট হয়। প্রথম দফার নির্বাচনের সময় যাবতীয় জনমত সমীক্ষাকে ভুল প্রমাণ করে, সোশ্যালিস্ট পার্টির প্রার্থীকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসেন ন্যাশনাল ফ্রন্টের প্রার্থী, নিও নাৎসি ল্যঁ পেন। দ্বিতীয় দফায় ভোট হয় শিরাক এবং ল্যঁ পেনের মধ্যে। সে সময় ফ্রান্সের বুকে নতুন করে চরম দক্ষিণপন্থী নব্য-নাৎসিবাদের উত্থান ঠেকাতে বামপন্থী এবং সোস্যালিস্টরা শিরাককেই সমর্থন করেছিলেন।