ফোর্বসের পাতায় সফল মায়েরা
হিলারি ক্লিন্টন, মিশেল ওবামা থেকে আঙ সান সুচি কিম্বা সোনিয়া গান্ধী। রাজনীতির পরিধি ছাড়িয়েও এঁদের প্রত্যেকেরই আরও একটা পরিচয় রয়েছে। এঁরা সকলেই সন্তানের মা। আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবসে তাই এরকমই ১০০ জন প্রভাবশালী মহিলার একটি তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস উইমেন পত্রিকা।
হিলারি ক্লিন্টন, মিশেল ওবামা থেকে আঙ সান সুচি কিম্বা সোনিয়া গান্ধী। রাজনীতির পরিধি ছাড়িয়েও এঁদের প্রত্যেকেরই আরও একটা পরিচয় রয়েছে। এঁরা সকলেই সন্তানের মা। আন্তর্জাতিক মাতৃ দিবসে তাই এরকমই ১০০ জন প্রভাবশালী মহিলার একটি তালিকা প্রকাশ করল ফোর্বস উইমেন পত্রিকা।
মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিন্টন থেকে শুরু করে ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীর নাম রয়েছে সেই দলে। কেবলমাত্র রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নয়, ফোর্বস উইমেন প্রকাশিত তালিকায় রয়েছে পেপসিকোর চেয়ারম্যান ইন্দ্রা নুয়ি, ফেসবুকের চিফ অপারেটিং অফিসার শেরিল স্যান্ডবার্ডের মত বিভিন্ন ক্ষেত্রের সফল মহিলাদের নাম।
কীসের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করা হয়েছে ? দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব সামলানোর পাশাপাশি, সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কিংবা পরিবারের প্রতি দায়বদ্ধতাই এই তালিকায় ঠাঁই পাওয়ার মাপকাঠি।
তালিকায় পয়লা নম্বরে রয়েছেন চেলসি ক্লিন্টনের মা, মার্কিন বিদেশসচিব, হিলারি রডহ্যাম ক্লিন্টন। কূটনৈতিক সফরের পাশাপাশি, সমান ভাবে স্বামী-কন্যাকে নিয়ে ঘর করছেন ওবামা প্রশাসনের প্রধান কাণ্ডারী হিলারি ক্লিন্টন।
ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট ডিলমা রসেফের পরে তৃতীয় স্থানে রয়েছেন পেপসিকোর প্রধান ইন্দ্রা নুয়ি। শুধু জরুরী মিটিং চলাকালীনই নয়, বিশ্বের যে প্রান্তেই থাকুন না কেন, সন্তানদের ফোন ধরতে কখনও বিরক্ত হন না তিনি।
ছয় নম্বরে জায়গা করে নিয়েছেন ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ক্রিস্টিন ল্যাগার্ড। সংগঠনের শীর্ষে পদে থেকেও, সন্তানদের জন্য সময় বের করে নিতে কোনওই অসুবিধা হয় না তাঁর।
তালিকায় সাত নম্বরে রয়েছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। রাজীব গান্ধী মারা যাওয়ার পর থেকেই রাজনীতির সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ে ওঠে তাঁর। খুব কঠিন সময়ে, তীব্র কর্মব্যস্ততার ফাঁকে দুই সন্তান রাহুল ও প্রিয়ঙ্কারও সমান যত্ন নিয়েছেন সোনিয়া।
অষ্টম স্থানে রয়েছেন মার্কিন ফার্স্টলেডি, মিশেল ওবামা। স্বামীর সঙ্গে বিদেশ সফরই হোক, কিংবা দেশের প্রথম নারী হিসেবে দায়িত্ব পালন, সব কিছুর মাঝেও সন্তানদের প্রতি পূর্ণ দায়িত্বশীল মিশেল ওবামা।
দশম স্থানে রয়েছেন দ্য নিউইয়র্ক টাইমসের চিফ এক্সিকিউটিভ এডিটর জিল অ্যাম্ব্রমসন। একজন মা হিসেবে আজও যেকোনও সময়ে সন্তানদের ডাকে সাড়া দিয়ে, তাদের পাশে পৌঁছে যান তিনি। তবে দেশের বাইরে থাকলে তাঁর ভরসা ভিডিও কল।
উনিশ নম্বর স্থানে রয়েছেন ডিজনি মিডিয়া নেটওয়ার্কের অন্যতম কর্ণধার অ্যানি স্যুয়েনি। মা স্কুল শিক্ষিকা হওয়ায়, হাজারও ব্যস্ততার মাঝে তিনিও নিজের সন্তানদের পড়াতে ভালো বাসেন তিনি।
কুড়ি নম্বর স্থানটি দখল করে রেখেছেন আঙ সান সুচি। রাজনীতির পাশাপাশি, পরিবারের প্রতিও সমান ভাবে দায়িত্বশীল তিনি।