Pakistan out of FATF grey list: ঘুচল সন্ত্রাসে মদতদাতার তকমা! FATF-র ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে এল পাকিস্তান
FATF-র কোপে পড়ে বিদেশে সাহয্যের পরিমাণ একেবারে তলানিতে ঠকে গিয়েছিল। তার যে কী ফল হয়েছে তা গত ৪ বছরে হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে পাকিস্তানিরা
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কাছে একই দিনে জোড়া সুখবর। শুক্রবার ইমরান খানের উপরে ৫ বছরের জন্যে ভোটে লড়ার নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে পাক নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, ৪ বছর পর শাপমুক্তি ঘটল পাকিস্তানের। FATF-র ধূসর তালিকা থেকে বেরিয়ে এল পাকিস্তান। প্যারিসে বসেছিল সন্ত্রাসবাদের উপরে আন্তর্জাতিক নজরদারি সংস্থা ফিনানশিয়াল অ্যাকশন টাস্ক ফোর্স-র(FATF) বৈঠকে। সেই বৈঠকে সংগঠনের ধূসর তালিকা থেকে বের করা হল পাকিস্তানকে। দুনিয়াজুড়ে বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনগুলির অর্থ জোগানের উপর নজরদারি করে থাকে এই সংস্থাটি।
আরও পড়ুন-ভুবনেশ্বরকে বাদ দিয়েই ভারতের দল সাজালেন গম্ভীর!
ফাটা-র ওই সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। কারণ FATF-র কোপে পড়ে বিদেশে সাহয্যের পরিমাণ একেবারে তলানিতে ঠকে গিয়েছিল। তার যে কী ফল হয়েছে তা গত ৪ বছরে হাড়েহাড়ে টের পেয়েছে পাকিস্তানিরা। আইএমএফ, বিশ্বব্যাঙ্ক, এশিয়ান ডেভলপমেন্টের মতো সংস্থার কাছ থেকে টাকা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অকন্ঠ ঋণে ডুবে থাকা পাকিস্তানে মুদ্রাস্ফীতি এখন রেকর্ড ছুঁয়েছে। বহু জনকল্যাণমূলক কাজকর্ম বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ইমরান খানের গদি যাওয়ার পেছেন কিছুটা হলেও দায়ী দেশের চরম আর্থিক মন্দা। ওই ঘোষণার পরই শাহবাজ শরিফ ট্যুইট করেছেন, এর জন্য ধন্যবাদ দেব বিদেশমন্ত্রী বিদেশ মন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো, সেনা প্রধান বাজওয়া ও দেশের রাজনৈতিক দলগুলিকে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ধূসর লিস্ট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য পাকিস্তানকে ৩৪টি শর্ত দিয়েছিল FATF। তার সবকটাই ঘাড় হেঁটে করে মেনে নিয়েছে শাহবাজ সরকার। ওইসব শর্তের মধ্যে অধিকাংই হল সন্ত্রাসবাদে মদত বা আর্থিক সাহায্য দেওয়া যাবে না। ২০১৮ সালে ফাটা যেসব শর্ত পাকিস্তানের উপরে চাপিয়েছিল তার অধিকাংশই এবছর জুন মাসের মধ্যে পূরণ করতে পেরেছে। তবে রয়েগিয়েছিল বেশকিছু শর্ত পূরণ। তার মধ্য়ে ছিল জইশ প্রধান মাসুদ আজহার, লস্কর প্রধান হাফিজ সইদ ও তার ডানহাত জাকিউর রহমান লকভির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি। এদের উপরে আগের থেকে অনেক কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে পাকিস্তান।